করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন মমতা যাতে করে রাজ্যের প্রাপ্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বাড়তি আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

 

দু’পাতার চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, প্রায় সব ব্যবসা বন্ধ থাকার জেরে রাজস্ব আদায় একেবারেই হচ্ছে না এবং অধিকাংশ রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গও খুব কঠিন আর্থিক সঙ্কটে। এর আগের সরকার পশ্চিমবঙ্গকে সাংঘাতিক ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন যে, এই পরিস্থিতির মধ্যেও সরকারি কর্মীদের এবং অবসরপ্রাপ্তদের বেতন, মজুরি এবং পেনশন রাজ্য সরকার মিটিয়ে দিয়েছে।

 

অনেক রাজ্যই বেতন দিতে পারেনি বা অর্ধেক দিয়েছে, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে শুধু সরকারি কর্মীদের বেতন বা পেনশন দেওয়া নয়, ছাত্রছাত্রী, কৃষক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি, সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি / জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য রাজ্য সরকার যে সব সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালায়, সে সবের জন্যও টাকা দরকার বলে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

 

তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের যা প্রাপ্য, তার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা আগেই কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা রাজ্য পাবে, সে টাকা এখনই দিয়ে দেওয়া হোক— অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর।

 

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে আরও জানিয়েছেন যে, চলতি পরিস্থিতিতে ঋণ এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে কী ধরনের ছাড় দেওয়া দরকার, সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শগুলো যদি কেন্দ্র মেনেও নেয়, তা হলেও ক্রমশ বাড়তে থাকা আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা খুব সহজ হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন— প্রাপ্য ৩৬ হাজার কোটি টাকার পাশাপাশি বাংলাকে অন্তত আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করা হোক। 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: