আগামী ১৪ ই এপ্রিল শেষ হতে চলেছে লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে অনেক রাজ্য থেকেই লকডাউনের  মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। বুধবার দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রীর কথাতে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন  ‘‘গোটা দেশ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা জাতীয় জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি। সেখানে দেশের প্রয়োজনে, দেশবাসীর প্রয়োজনে বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।” এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সবার পরামর্শ শুনে মনে হচ্ছে, লকডাউন প্রত্যাহার করা খুব একটা সহজ নয়। আমাদের আধিকারিকরা জেলা স্তর পর্যন্ত যোগাযোগ রাখছেন। সেখান থেকেও যে অভিজ্ঞতার কথা জানা যাচ্ছে বা গোটা বিশ্বের যা অভিজ্ঞতা তাতে, লকডাউনেই সবাই আস্থা রেখেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে।”

 

এ দিন প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং পরে যেমন গোটা বিশ্বে মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে, তেমনই করোনা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বে মানুষের জীবনযাপনে বিরাট বদল আসবে। কর্ম সংস্কৃতির বদল আসবে। সামগ্রিক জীবনে পরিবর্তন আসবে।” বর্তমান পরিস্থিতিকে সামাজিক জরুরি অবস্থা বা সোশ্যাল ইমারজেন্সি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

এছাড়াও এ দিন করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে তা কাটিয়ে ওঠার কথাও বলেন। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার-সহ বিএসপি, লোকজনশক্তি পার্টির সাংসদরাও।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: