বর্তমানে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধিতায় যেসমস্ত সেলিব্রিটি সরব হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনুরাগ কাশ্যপ হলেন অন্যতম নাম।

আগের বার কঙ্গনার আসা নিয়ে বললেন ‘ওহ তাই! আমি জানতাম না। কী আর করা যাবে। কঙ্গনা ইজ় বিয়িং কঙ্গনা (হাসি)! আপনাদের এখানে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে, না’? 

‘এটা ভাল যে, মানুষ আর চুপ করে থাকছে না। সরাসরি কথা বলছে, রাস্তায় নামছে। আমিও তো মুম্বইবাগে গিয়েছিলাম’।

‘পরিবারের উপরে জিনিসটা চলে এলে চিন্তা হয়। আমি টুইটার ছেড়েছিলাম পরিবারের কথা ভেবেই। কিন্তু কী আর করা যাবে। যা পরিস্থিতি, তাতে চুপ থাকা সম্ভব নয়। ভয়ের কারণ এখনও রয়েছে। কিন্তু সব কিছু এড়িয়ে যাওয়া যায় না। চোখ-কান-মাথা বন্ধ করে তো বসে থাকতে পারি না। জবরদস্তি মেরুকরণের চেষ্টা চলছে’।

‘সাইলেন্স মানেই যে প্রতিবাদ করছেন না, তা নয়। চুপ করে থাকাটা সমস্যা নয়। তাঁদের চুপ থাকার একাধিক কারণ থাকতে পারে। প্রতিবাদ করা বা না করাটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর মানে এই নয় যে, তাঁদের কোনও পয়েন্ট অব ভিউ নেই। সাইলেন্স অলসো স্পিকস। মুখ খুললে তাঁদের অনভিপ্রেত কিছু সহ্য করতে হতে পারে’।

‘আমার ভাল লাগে আপনাদের টেলিগ্রাফের ফ্রন্ট পেজের হেডিং। সোজা, সপাট। ই-পেপার খুলে দেখি। মেরা দিন বন যাতা হ্যায়। আচ্ছা, বাংলায় কি বিজেপি খুব স্ট্রং’?

‘ওরা আনএডুকেটেড লোকজনকে টার্গেট করে। দে র‌্যাডিকালাইজ় পিপল। এই দিল্লি নির্বাচনের আগেই কত রকম কাণ্ড ঘটাচ্ছে। জানে হারবে, তাই এ সব করছে’।

ছবির মাধ্যমে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে বললেন ‘এই মুহূর্তে সকলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। এর চেয়ে জোরালো তো আর কিছু হতে পারে না। আর এই বিষয় নিয়ে ছবি বানালে সেটা প্রোপাগান্ডা মনে হতে পারে। পক্ষে বা বিপক্ষে, যা-ই হোক না কেন’।

‘প্রোপাগান্ডা ছবি চিরকাল তৈরি হয়েছে আর হবেও। দেশভক্তির আবেগ বিক্রি হয় তো। আর এটা বিক্রি করাও সোজা’।

সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বললেন ‘ ভালর চেয়ে মন্দই বেশি মনে হচ্ছে। যাবতীয় গোলমালের মূলে এই ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ। এখানে জনমত ম্যানিপুলেট করা হচ্ছে। নিজস্ব আইটি সেল তৈরি করে ফেলেছে সব দলগুলো। কত ডেটা লিক হয়ে যাচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্য দিয়ে। একটি তথ্যচিত্রে খুব স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে, মানুষ কী ভালবাসে, কী পছন্দ করে না... এ সব তথ্য কী ভাবে অন্যের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে’।

ছপাক নিয়ে তাঁর বক্তব্য ‘আমি ‘ছপাক’ দেখেছি। খুব ভাল ছবি। অনেকের কাছে অস্বস্তিকর হতে পারে দীপিকার বিকৃত মুখ। তবে টুইটারের #বয়কটদীপিকা হুজুগের প্রভাব এতে পড়েছে বলে বিশ্বাস করি না। ক’টা লোক আছে টুইটারে? গোটা দেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বড়জোর। যে কারণে দীপিকার ছবিটা চলেনি, ঠিক তার উল্টো কারণে কিন্তু কঙ্গনার ‘পঙ্গা’ চলা উচিত ছিল। সেটা তো হয়নি। ছবি নিজের জোরে চলে’।

 

 

 

 

 

 

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: