যদিও সকলের আন্দাজ লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে চলেছে, যদিও এখনো পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কোন ঘোষণা করা হয়নি। সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউন বাড়াতে হলেও, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যেন পদক্ষেপ করা হয়। কারণ, লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে বহু মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।

 

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যে দিন থেকে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে, তার পর থেকে ৪৯ দিন, ১৯ মে পর্যন্ত এই সময়টা যদি আমরা কষ্ট করেও ভাল করে কাটিয়ে দিতে পারি... বাজার তো খোলা রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটা ৪৯ দিন পর্যন্ত করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। তাই ২৪ তারিখ থেকে গুনে ১৯ মে বলেছি। আমি বিশেষজ্ঞ নই। আমি নিশ্চিত নই। সত্য-তথ্য আমার কাছে নেই। লকডাউনে অনেকের কষ্ট আমরা বুঝছি। কিন্তু করোনা এত বড় একটা সমস্যা, এ জন্য মানুষের সমস্যাটাকেও মনে রাখতে হবে। তাই লকডাউন বাড়ানো হলেও মানবিক ভাবে তা যেন দেখি। মানুষকেও নিয়মশৃঙ্খলা মানতে হবে। কড়াকড়ি করব, বাড়াবাড়ি করব না।’’

 

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সরকারি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সিদ্ধান্ত কালেক্টিভ, ভারত সরকার করেছে, আমরা বলবৎ করেছি। ঘটনা ঘটলে রাজ্যের ঘাড়ে চাপে। ভাল হলে ক্রেডিট অনেকেই নেয়। ক্রেডিট সব ভাগ করে নিক, খারাপটা না নিলেই হল।’’ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, লকডাউন শিথিল হোক বা না-হোক, সীমান্ত-সীমানা এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি দিয়ে অবৈধ গতিবিধি আটকানোই এখন মাথাব্যথা রাজ্যের। অসংগঠিত, দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষদেরও সমস্যা দূর করতে নিরন্তর পরিকল্পনা করছে সরকার। আজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ নিতে বণিকসভা, এমএসএমই সেক্টর, হোটেল ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: