১৫০ কিমি বেগে বুলবুল সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ল । তিন ঘন্টা ধরে তান্ডব চালাবে বুলবুল বলে জানা গেছে ।তার জন্য সরকার ও প্রশাসনের তৎপরতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আজ শনিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বে ছুটি বাতিল করে রাত জেগে নবান্নে বসে থাকবেন অফিসাররা । নবান্ন সূত্রের খবর, আজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নবান্নের কন্ট্রোলরুমেই রাত জাগবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে টুইট করে সকলকে সতর্ক এবং নিরাপদ থাকার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের পাশাপাশি খোলা থাকছে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমও। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মতোই বিনিদ্র রাত জাগতে চলেছেন তাঁরই দলের কর্মী তথা কাকদ্বীপ বিধায়ক ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “গবাদি পশু থেকে গৃহপালিত পশু যা আছে তাঁদেরকে আমরা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসছি। মানুষদেরও নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার জনকে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়েছে। সাংঘাতিক বৃষ্টি হচ্ছে এখানে।সরকারের তরফে খাওয়া দাওয়ার সব ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে রান্নারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি, জেলাশাসকদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে নিচ্ছি।সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি আমরা।”
তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরামের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হল যেন একটা প্রাণহানিও যেন না হয়। যেকোনও উপায়ে সবাই কে বাঁচাতে হবে।”
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ক্যাম্প করা হয়েছে কাকদ্বীপ এলাকায়।সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানালেন বিধায়ক নিজেই। মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও অফিসার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সিভিল দফতর এবং অন্যান্য সব দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। সুন্দরবনের সব এলাকাতেই সমান নজরদারি করা হচ্ছে।”


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: