ইসলামিক স্টেট সৌদি আরব তার নিজস্ব রীতি-নীতি থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই সরে এল । সেদেশে বিদেশী পর্যটক টানতে এবার ইসলাম ধর্মের বিধানের অনেকটাই পরিবর্তন করল সৌদির যুব রাজ মহম্মদ বিন সালমন । নতুন নিয়মে বলা হয়েছে ,অবিবাহিত বিদেশী নারী–পুরুষ একই সঙ্গে হোটেলে থাকতে পারবেন। শুধু বিদেশি পর্যটকই নয়, সৌদি মহিলারাও এ বার থেকে হোটেলে একা থাকতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে হোটেলে চেক–ইনের জন্য তাঁদের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। তবে বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও প্রমাণপত্র লাগবে না বলেই জানিয়েছে দ্য সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ।
জ্বালানি তেল রফতানিই মূলত সৌদির অর্থনীতির প্রধান উৎস। সেই সঙ্গে হজের মরশুমে বিদেশী হজযাত্রীদের কাছ থেকে বড় অংকের আয়ও সৌদি সরকারের হয় । এরপরেও সৌদি সরকার বিদেশী পর্যটক টানতে নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে । বিদেশি পর্যটক টানতে কয়েক দিন ৪৯টি দেশকে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা। তাদের মূল লক্ষ্য ২০৩০–এর মধ্যে প্রতি বছর ১০ কোটি পর্যটক টানা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতেই অনেক বিষয়েই রক্ষণশীলতাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে সৌদি সরকার। অবিবাহিত বিদেশি নারী–পুরুষের এক সঙ্গে হোটেলে থাকার বিষয়টিই তার একটা উদাহরণ।
তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করেছে জরিমানাযোগ্য ১৯টি বিষয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করে তারা। অশোভন পোশাক পরা, জনসমক্ষে চুম্বন, থুতু ফেলা, অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তির ছবি ও ভিডিয়ো তোলা, প্রার্থনার সময় গান বাজানো— এমন বেশ কয়েকটি বিষয় তাদের সেই তালিকায় ছিল। দেশের নিয়মকানুন সম্পর্কে যাতে পর্যটক ও ভ্রমণার্থীরা ওয়াকিবহাল থাকেন সে জন্যই জরিমানাযোগ্য এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল।
জনসমক্ষে অবিবাহিত নারী–পুরুষদের মেলামেশা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ছিল সৌদিতে। শুধু সৌদি নাগরিকই নন, বিদেশিদের জন্যও এই বিষয়টি শাস্তিযোগ্য ছিল। রক্ষণশীলতার মোড়ক ছেড়ে বেরনোর এই কাজটা শুরু করেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। 
তবে সৌদি সরকার যেভাবে বিদেশী অবিবাহিত নারী-পুরুষকে এবং সৌদি আরবে মেয়েদের হোটেলে রাত কাটানোর অধিকার দিয়েছে তাতে ওই রাষ্ট্রে ইসলামিক আদর্শে যে বেশ খানিকটা ধাক্কা খাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: