সাড়ে আট বছরের তফাত। ২০১১ সালের ১ মে রবিবার বারাক ওবামা প্রশাসন খতম করেছিল ওসামা বিন লাদেন। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলদের দুঃসাহসিক অপারেশনে খতম হয়েছিল আল কায়দা প্রধান। এবারে ২০১৯ সালে ২৭ অক্টোবর লাদেন পরবর্তী বিশ্ব জোড়া সন্ত্রাসের মুখ আবু বকর আল-বাগদাদি শেষ মার্কিন ফৌজদের অপারেশনে।

 

ভারতে দীপাবলির দিন নানা রকম জল্পনা চলছিল। খতম আইএস প্রধান। অনেকটা লাদেনকে মারার সময় যে জল্পনা। তবে সেই জল্পনার অবসান হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে। তিনি জানান, আবু বকর আল-বাগদাদি ‘নিহত।’ কিন্তু কীভাবে খতম হলো আইএস প্রধান ?

 

১) প্রথমে ওই এলাকা থেকে বাকিদের সরায় মার্কিন বাহিনী। ১১ জন শিশু অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।

 

২) কুকুরের তাড়া খেয়ে বন্ধমুখ সুড়ঙ্গের শেষে দৌড় দেয় বাগদাদি। তার সঙ্গে ছিল তিন সন্তানও

 

৩) পালানোর পথ বন্ধ থাকায় সুসাইড ভেস্টে নিজেকে ওড়ায় বাগদাদি

 

২ ঘণ্টার অপারেশন বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত মৃত্যুর সত্যতা। রবিবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘গত রাতে বিশ্বের এক নম্বর জঙ্গিনেতাকে দু’ঘণ্টার অভিযানে মেরে ফেলেছে মার্কিন বাহিনী। আবু বকর আল-বাগদাদি মৃত। সে আইএস গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও হিংস্র প্রতিষ্ঠান ওটা। আমেরিকা বহু বছর ধরে বাগদাদিকে খুঁজছিল। জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমার প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল, বাগদাদিকে ধরা বা মেরে ফেলা।’’ প্রশাসনের খুব কম লোকই এই অভিযানের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাগদাদির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল বলে দাবি ট্রাম্পের।



Find out more: