গত ৫ আগষ্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর সেই রাজ্যে বেশ কয়েক জন নেতাকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে হোটেলে । এরজন্য খরচ পড়েছে  মোট ২কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা । আর এতেই মাথায় হাত কেন্দ্রের । এত টাকা খরচ করে নেতাদের নজরবন্দী করা হয়েছে জেনে এবার অন্যত্র সরানোর ভাবনা চলছে বলে খবর পাওয়া । বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে ,ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্সের ৩১জন নেতাদের এত দিন রাখা হয়েছিল ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভলপমেন্টে কর্পোরেশন (আইটিডিসি)-এ হোটেলে।  জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার তাদের অন্যত্র সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আপাতত দু’টি জায়গার কথা ভাবা হয়েছে। এম এ রোডের কাছে এমএলএ হস্টেল অথবা ওই এলাকার কোনও হোটেলে ঠাঁই হতে পারে এই নেতাদের।
কিন্তু কেন হঠাৎ নেতাদের অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ নিল সরকার ? সরকারি কর্তাদের দাবি, আইটিডিসি হোটেলের কাছেই শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার। সেখানে গত তিন মাসে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাচ্ছে না। কারণ, ওই হোটেলটিকেই সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আইটিডিসি সূত্রে খবর, গত তিনমাসে বন্দিদের থাকা খাওয়ার জন্যে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। এই আকাশছোঁয়া বিলেই মাথায় হাত পড়েছে সরকারের।
আইটিডিসির হোটেলেই এখন রয়েছেন পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজিদ লোন, পিডিপির নইম আখতার, প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জলরা। দেখা যাচ্ছে বন্দিপিছু প্রতিদিন ৫০০০ টাকা করে বিল করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকারের বরাদ্দ মাত্র ৮০০ টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, একটি ঘরে  দু’জন বন্দিকে রাখা হয়েছে। তাঁরা মূলত নিরামিষ খাবার পান। সপ্তাহে একদিন একটুকরো মুরগির মাংস দেওয়া হয়। তাতেই এই পরিমাণ বিল কী ভাবে হয়, তা ভেবে পাচ্ছে না প্রশাসন।
জম্মু কাশ্মীরের দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাও এখনও বন্দি রয়েছেন। তবে মুফতিকে চশমা শাহি এলাকার এক সরকারি গেস্ট হাউসে এবং ওমর আবদুল্লাকে নেহরু গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে। অন্য দিকে ফারুক আবদুল্লা জনসুরক্ষা আইনে নিজের বাড়িতেই বন্দি।তাঁদের এখন অন্যত্র সরানো হবে না বলেই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: