সল্টলেকে চলতে থাকা পার্শ্ব-শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি চলছে । এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া এক শিক্ষিকা বাড়ি যাওয়ার পথে মারা যায় । পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরর বাসিন্দা রেবতী রাউতের মৃত্যুর ঘটনার দিনেই আর একজন পার্শ্ব-শিক্ষক যার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালীতে । তিনি ব্রেণস্ট্রোকে আক্রান্ত হন । গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । আর এই ইস্যুতে আজ লোকসভা উত্তাল হল । বিজেপি সাংসদ বনাম তৃণমূলের সাংসদদের বাকবিতন্ডায় উত্তাল হল সংসদ ।
শুক্রবার প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষ দিকে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিষয়টি প্রথমে উত্থাপন করেন। কলকাতায় পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন চলছে, ইতিমধ্যেই এক জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে স্পিকার ওম বিড়লাকে জানান বাবুল। বিষয়টি নিয়ে বলার অনুমতি চান তিনি। কিন্তু বাবুলকে স্পিকার জানান, বলার অনুমতি তাঁকে দিতে হলে বিরোধীদেরও দিতে হবে। বিরোধী বেঞ্চ থেকে তৃণমূলের সাংসদরাও উঠে পড়েন, বাবুলকে যাতে ওই বিষয় নিয়ে বলতে না দেওয়া হয়, সেই দাবি তুলতে থাকেন। মন্ত্রী প্রথমে থামেননি, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর এবং ইতিমধ্যেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে— এ কথা বেশ কয়েক বার বলেন তিনি। কিন্তু বাবুল যে হেতু মন্ত্রী, সে হেতু সভার নিয়ম লঙ্ঘন না করতে তাঁকে অনুরোধ করেন স্পিকার।
এরপরেই পশ্চিমবঙ্গে চলতে থাকা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি বিশদে বলতে শুরু করেন। ‘‘১২ দিন ধরে অনশন চলছে, এক জনের মৃত্যু হয়েছে, আরও বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়েছে পড়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী কিছুই করছেন না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একটা শব্দও এখনও উচ্চারণ করেননি এ বিষয়ে,’’— বলতে থাকেন লকেট। তৃণমূল সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। তখন লকেটের সমর্থনে উঠে দাঁড়ান সৌমিত্র খাঁ, সুভাষ সরকার, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, খগেন মুর্মু, রাজু বিস্তাদের মতো বিজেপি সাংসদরা। ‘‘কিছু করুন, না হলে পার্শ্বশিক্ষকদের এঁরা মেরে ফেলবেন,’’— স্পিকারের উদ্দেশে বার বার বলতে থাকেন লকেট। আর তাঁর সমর্থনে উঠে দাঁড়ানো অন্য বিজেপি সাংসদরা মমতার বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন। তৃণমূলও সুর তুঙ্গে তোলে। ফলে হট্টগোল তীব্র হয়ে ওঠে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: