বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভার অধিবেশনের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তারপরেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল টুইট করেন, 'মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ মার্চ রাত ২টোয় বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হল। ওই সময়ে বিধানসভার অধিবেশন শুধু ব্যতিক্রমী নয় ঐতিহাসিক। কিন্তু এটাই সরকারের সিদ্ধান্ত।' পরে আরও একটি টুইট করে মধ্যরাতে অধিবেশন ডাকার ব্যাখ্যা দেন রাজ্যপাল। সেই টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, 'মধ্যরাতের অধিবেশনের সময় এর সময় নির্ধারণের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেই মুখ্যসচিবকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে না পারায় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।'

বিধানসভা বাজেট অধিবেশন নিয়ে আগে থেকেই তৈরি ছিল। বাজেট অধিবেশন শুরু করতে প্রথমে যে ফাইলটি রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল তাতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন না থাকায় ফিরিয়ে দেন রাজ্যপাল। পরিষদীয় দফতরের সেই ফাইলটিতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছিল বলে জানিয়েছিলেন ধনখড়। ২১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার ফাইল পাশ করিয়ে পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই ফাইলেই পাঠানো সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ডাকলেন তিনি।

এ বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা কোনও টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল। আশা করি সরকার আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করে নেবে। কিন্তু রাজ্যপাল এই ভুল দেখে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার কাউকে বলতেই পারতেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি নতুন সমন আমার কাছে না আসে তাহলে আমাকে রাতেই অধিবেশন ডাকতে হবে।’’ উল্লেখ্য সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানায় একবার বিধানসভার অধিবেশন বসেছিল সন্ধ্যেবেলায়। কিন্তু কখনওই পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে গভীর রাতে অধিবেশন ডাকার নজির নেই।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: