গুজরাতে বিপুল জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভূপেন্দ্র পটেলের নামেই সিলমোহর দিলেন বিজেপি বিধায়করা। যার অর্থ, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজয় রূপাণীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার নেওয়া পটেলর উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পরিদর্শক হিসেবে বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির ৩ নেতা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে পটেলকে দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। গুজরাতের মসনদে বিজেপি ফিরলে পটেলই যে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, সে ইঙ্গিত ভোটের আগেই দিয়ে রেখেছিল পদ্ম-শিবির। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোটপ্রচারে গিয়ে ‘নরেন্দ্র-ভূপেন্দ্র ডবল ইঞ্জিন সরকার’-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিল আগেই জানিয়েছিলেন পটেলকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।

২০১৪ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে মোদী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আনন্দীবেন পটেল। পরে তাঁকে সরিয়ে রূপাণীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে রূপাণীকে সরিয়েই নিয়ে আসা হয় ভূপেন্দ্র পটেলকে। কোনও রাজ্যে নির্বাচনে যাওয়ার আগে সচরাচর বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আনা হয় না।

অন্যদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় শিমলায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হবে। তারপর রবিবার শপথগ্রহণ করতে পারেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। যে দৌড়ে প্রায় জিতেই গিয়েছেন সুখবিন্দর। শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার অপেক্ষা করা হচ্ছে। এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাকি নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: