এবার নয়া অধ্যায় শুরু করলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। দ্বিতীয় বার বিয়ে করলেন ৭৭ বছর বয়সি প্রাক্তন সিপিএম (CPM) সাংসদ। জানা গিয়েছে, পাত্রী কলকাতার বাসিন্দা। শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরতা। জানা গিয়েছে পাত্রীর নাম মানসী দে ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডার মৃত্যু হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একা হাতে সন্তান এবং সংসার সামলেছেন। একইসঙ্গে রাজনীতির ময়দান এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে কাজ করে গিয়েছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর একাকিত্বে ভুগছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মানসীর।

১৯৮২ সাল থেকে তিনবার সুতাহাটা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। ১৯৯৬ সালে তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু, সেই বার পরাজিত হন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি নিজে‘ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ নামক একটি দল গড়েন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তিনি BJP-তে যোগদান করলেও তাঁকে বছর দু'য়েকের মাথায় বহিষ্কার করা হয়। এরপর কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি।

এক সময় লক্ষ্মণকে হলদিয়ার শেঠ বলা হত। হলদিয়ার একচ্ছত্র সম্রাট ছিলেন তিনি। তাঁর দাপটও ছিল দারুণ। শিল্প শহরে সমস্ত কারখানার সিটু ইউনিয়ন তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। হলদিয়ায় তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিএড কলেজ, ডেন্টাল কলেজ কী না। ক্রমে তাঁর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাবও তাঁর মাথা থেকেই এসেছিল। পরবর্তীকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ইচ্ছেতে দল তাঁকে বহিষ্কার করে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: