দিল্লির আর কিছুই হারানোর নেই, প্লে অফে ওঠার চিন্তা তাদের মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এখন স্রেফ খেলা উপভোগ করার জন্যই খেলবেন ডেভিড ওয়ার্নাররা (David Warner)। আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে হারের পর দুর্দান্ত পেপ টক দিয়ে সে কথাই বুঝিয়েছিলেন দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। হারার ভয় যখন চলে যায়, যে কোনও দল সেই সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
তাছাড়া নাইট শিবিরের সমস্যার অভাব নেই। বোলিং, বিশেষ করে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের পারফর্ম্যান্স চোখে দেখা যাচ্ছে না। উমেশ যাদব, শার্দূল ঠাকুর এবং লকি ফার্গুসনকে অবলীলায় চার-ছয় মারছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচ অর্ধেক হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ডেভিড উইজ এবং বৈভব অরোরাকে সুযোগ দিয়ে দেখা যেতেই পারে।
এছাড়াও আছে ওপেনিং নিয়ে সমস্যা। দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করার পর পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থ আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। টিম ম্যানেজমেন্ট আর হয়তো ধৈর্য রাখতে পারবে না, যেখানে ২.৮ কোটি দামের জেসন রয় সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছেন। গুরবাজ বাদ পড়লে কিপিংয়ের দায়িত্ব পড়বে জগদীশনের কাঁধে। সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে দস্তানা হাতে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছিল। সুযশ শর্মা আগের দু’ দিন মার খেলেও তিনি আজও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ঢুকবেন। ব্যাটিংয়ের সময় থাকবেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
আজকের কেকেআর দল হতে পারে অনেকটা এরকম— জেসন রয়, এন জগদীশন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দূল ঠাকুর, ডেভিড উইজ, উমেশ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী।
দিল্লির অবস্থা কলকাতার থেকেও খারাপ। বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আগের ম্যাচে ৩ ওভারে ৪১ রান দিয়েছেন। আজ তাঁর জায়গায় লুঙ্গি এনগিডি দলে ঢুকতে পারেন। মিডল অর্ডারে রাইলি রুসোর জায়গায় খেলানো হতে পারে রভম্যান পাওয়েলকে। ফর্মে ফিরতে হবে পৃথ্বী শ-কেও। এই মরশুমে তাঁর উপর অনেক আশা রেখেছিলেন হেড কোচ রিকি পন্টিং। পৃথ্বী হতাশ করেছেন বললে কম বলা হবে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel