দিন দিন বিলুপ্তির পথে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর বেআইনি ভাবে বেড়েই চলেছে পাখি বিক্রির ব্যবসা। তবে এবার সেই ব্যবসায় লাগাম দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এই পাখি বাঁচানো নিয়ে ভারতে একটি সিনেমা তৈরি করা হয়।তবে তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই বাংলাদেশবাসীর। এবার হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক হাজার পাখি।
বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের একটি আম বাগানের প্রায় ২৫টি গাছে বাসা করে আছে কয়েক হাজার শামুকখোল। পাখি শিকারিদের আক্রমণ একদিকে যেমন এদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, ঠিক তেমনই বাগান মালিক পক্ষও পাখিদের তাড়াতে তৎপর হয়েছে।
জানা গেছে, পাখিরা বাসা করার ফলে আমের ফলন কমে যায়। কয়েকদিন আগে মালিক পক্ষ পাখিদের ১৫ দিনের মধ্যে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এনিয়ে পাখিপ্রেমী ও পরিবেশপ্রেমীদের সংঘাতও শুরু হয়। এরপরেই একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদনের ফলে ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। এরপর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়।
এরপর বাংলাদেশের হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই পাখির বাসা ভাঙা যাবে না। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে এমন আদেশ দেন। এবার, খোর্দ্দ বাউসা গ্রামকে কেন অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে ওই আম বাগানের ইজারাদারদের কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, তাও ৪০ দিনের মধ্যে জানাতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত জানিয়েছে, কখনই পাখির বাসা ভাঙা যাবে না। আম বাগানের গাছে গাছে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছে। বাচ্চারা এখনও উড়তে শেখেনি। কিন্তু বাগানমালিক এখনই বাগানের পরিচর্যা করতে চান। পাখিপ্রেমীদের প্রতিরোধের মুখে তিনি মঙ্গলবার থেকে পাখিদের জন্য ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছেন। এরপর যদি পাখি শিকার অথবা ধরে বিক্রি করে তাহলে ওই বিক্রেতার জেলও হতে পারে বলে জানান।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: