দিল্লি মহানগরকে দূষণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় ফর্মূলা প্রয়োগ করা হয়েছে । কিন্ত দিল্লি সরকারের এই ফর্মূলা না পসন্দ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বিজয় গয়ালের । তিনি তাঁর বিজোড় গাড়ি নিয়েই বেরিয়ে ছিলেন । কিন্ত নির্দেশিকা অমান্য করার দায়ে তাঁকে দিতে হল চার হাজার টাকা জরিমানা। সোমবার সকালে এই ঘটনার পর, আর এক দফা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় গয়ালের বাড়িতে, আপের মন্ত্রী ফুলের তোড়া হাতে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পর।
এ দিন বিজেপি সাংসদ বিজয় গয়াল জোড়-বিজোড় নীতির ‘প্রতিবাদ করতে’, নিজের বিজোড় নম্বরের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বার হন। কমলা রঙের সেই গাড়ির গায়ে নানা স্নোগানও লেখা ছিল। তবে তাঁর ১০ নম্বর অশোক রোডের বাড়ি থেকে বেশি দূর এগোতে পারেননি, ১০০ মিটারের মধ্যেই তাঁকে আটকায় দিল্লি পুলিশ। জোড়-বিজোড় নীতি অমান্য করার জন্য তাঁকে চার হাজার টাকা স্পট ফাইনও দিতে হয়। বিজয় গয়াল তাঁর এই আইন অমান্যকে ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি’ বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে।
কিন্তু ঘটনাসূচি এখানেই থামেনি। প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার কিছু পরেই, গয়ালের বাসভবনে গোলাপের তোড়া নিয়ে হাজির হন দিল্লির আপ সরকারের পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গহলৌত। বিজয় গয়ালের হাতে সেই ফুল দিয়ে তিনি অনুরোধ জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লি সরকারের জোড়-বিজোড় নীতিকে তিনি যেন সমর্থন করেন।
গয়াল অবশ্য পাল্টা দু’কথা শোনাতে ছা়ড়েননি আপ মন্ত্রীকে। তাঁর হাতে পাল্টা একটি ফুলের তোড়া দিয়ে বিজয় গয়াল বলেন, “পাঁচ বছর ধরে আপনাদের সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। যদি পঞ্জাব এবং হরিয়ানার খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাসই (আম আদমি পার্টির মূল অভিযোগ এটাই) দায়ী হয় দূষণের জন্য, তা হলে জোড়-বিজোড় নীতি কী ভাবে সাহায্য করবে।” জবাবে গেহলৌত বলেন, “পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলেও, এই নীতিতে যদি ৫০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় না বার হয়, তাহলে দূষণও অনেকটা কমবে বলা যেতে পারে।”


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: