'আশিকি টু'-এর 'তুম হি হো'(Tum Hi Ho) গানে হিল্লোল তুলেছিলেন তিনি। তবে সাফল্যের সেই যাত্রা ছিল কাঁটার কার্পেটে মোড়া, সে পথ অতিক্রম করতে শিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) অন্তর কম রক্তাক্ত হয়নি। একের পর এক ব্যর্থতাতেও হাল ছাড়েননি তিনি। এইমুহূর্তে অরিজিৎ-ই যে বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় গায়ক তা নিয়ে দ্বিধা নেই তাঁর অতি বড় শত্রুর মনেও।

আজ ৩৫ বছর পূর্ণ করলেন অরিজিৎ সিং। তাই জন্মদিনে কিছু অজানা কথা জেনে নেওয়া যাক -

* ২০০৫ সালে পাড়ি মুম্বই পাড়ি দেন অরিজিৎ। 'ফেম গুরুকুল' রিয়ালিটি শোয়ে যোগদান করার পর বেশিদিন সেখানে স্থায়িত্ব হয়নি। বাদ পড়তে হয়।

* সাল ২০০৯। সঞ্জয় লীলা বনশালি(Sanjay Leela Bhansali) খুঁজে বের করেন তাঁকে। 'সাওয়ারিয়া' ছবির 'ইউঁ শবনামি' গানটি তাঁকে দিয়ে গাইয়েছিলেন পরিচালক। পোস্ট প্রোডাকশনে বাদ পড়ল সেই গান। মুক্তি পেল অন্য সংগীতশিল্পীর গাওয়া সেই গান।

* টিপস থেকে একটা গোটা অ্যালবাম রেকর্ড হয়েছিল অরিজিতের। কিন্তু সেই অ্যালবামও মুক্তি পেল না।

* 'দশকে দশ লে গয়ে দিল' নামক একটি রিয়ালিটি শো জিতে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পান অরিজিৎ। সেই টাকায় মুম্বইয়ে নিজের রেকর্ডিং স্টুডিও বানান তিনি।

* এরপরই ২০১৩ সালে মুক্তি পায় 'তুম হি হো', আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অরিজিৎকে। একের পর এক গানে হিটের রেকর্ড ভেঙেছেন শিল্পী। ছয়টি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও একটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অরিজিৎ। 'পদ্মাবত' ছবির 'বিনতে দিল' গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

* বলিউডে কুমার শানুর পর একমাত্র অরিজিৎ সিং-ই এমন একজন শিল্পী যিনি পরপর ৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি প্রথম ফ্লিমফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান ২০১৪ সালে। তারপর ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত একটানা ৫ বছর ওই পুরস্কারের দখল নেন তিনিই। অরিজিতের সামনে শুধুই কিশোর কুমার, যাঁর সংগ্রহে ৮টি পুরস্কার। এছাড়া আরও অন্যান্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন অরিজিৎ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: