করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখেই এবারেও কোনও কার্নিভাল হবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য। দুর্গাপুজার  মণ্ডপকে কেন্দ্র করে কোনও মেলা, কার্নিভালেও অনুমতি দেওয়া হবে না স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। রাজ্যের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে মণ্ডপে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রতিটি মন্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। জোর দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে মন্ডপ দর্শনের ব্যবস্থা করা যায়। প্রতিটি মণ্ডপকে রাজ্যের নির্দেশ পুজোমণ্ডপে ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক বাড়াতে হবে। রাজ্যের নির্দেশ করোনার কথা মাথায় রেখেই পুজো উদ্বোধনেও ঘটা করা চলবে না। এমনকী বিসর্জনের জমক রাখা চলবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দমকল পরিষেবা পুজো কমিটি গুলি পাবে বিনামূল্যেই। ৫০ শতাংশ  ছাড়ে মিলবে বিদ্যুৎ। বলা হয়েছে রেজিস্টারড ক্লাবগুলিকে সাহায্য করার কথাও।

স্বেচ্ছাসেবকেরা অঞ্জলি দেওয়া, প্রসাদ বিতরণ, সিঁদুর খেলা ইত্যাদিতে যাতে অযথা ভিড় না হয়, দেখবেন তা-ও। পুরোহিতকে অঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণ করতে হবে মাইক্রোফোনে, দর্শনার্থীকে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ফুল। পুজো প্যান্ডেলের আশপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না। পুজোগুলিকে যাঁরা বিভিন্ন সংস্থার তরফে পুরস্কৃত করেন, তাঁরা কখনোই বেশি সংখ্যায় আসতে পারবেন না। একই সময়ে বিচারকমণ্ডলীর তরফে দুটির বেশি গাড়ি যেন না ঢোকে পুজো চত্বরে। পুজোর এই নান্দনিক বিচার 'ভার্চুয়ালি' হওয়াটাই কাম্য। বিচারকদের যদি একান্ত প্য়ান্ডেল-চত্বরে আসতেই হয় তবে তা সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। প্যান্ডেলে বা পুজো-চত্বরে কোনও নির্দিষ্ট সময়-পর্বে যাতে ভিড় না জমে সেজন্য পুজো উদ্যোক্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: