আর কয়েক দিনের মধ্যেই ১৩৪ বছরে বিবাদমান বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। রায়ের পর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অযোধ্যাকে কার্যত দূর্গে পরিণত করেছে। রায়ের আগেই উত্তরপ্রদেশে আগেভাগেই চার হাজার আধাসেনা পাঠান হয়েছে। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, চার স্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে শুরু হয়েছে আগাম প্রস্তুতি। এক দিকে যেমন অভেদ্য করে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে, তেমনই কড়া নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, জনসংযোগ তৈরির মতো একাধিক পদক্ষেপ করছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন।
দেশের দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আগেই জানিয়েছিলেন অবসরের আগেই তিনি অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। তার জন্য প্রতিদিন শুনানির ব্যবস্থা হয়েছিল। টানা সেই শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রঞ্জন গগৈ অবসর নেবেন ১৭ নভেম্বর। তার আগেই  অযোধ্যা রায় হওয়ার কথা। আর এই দিকে লক্ষ্য রেখে দেশজুড়ে সর্তকবার্তা জারি করেছে কেন্দ্র । একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশ সরকারও সমগ্র রাজ্য জুড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে ।
কেমন সেই ব্যবস্থা? উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, অযোধ্যা সংক্রান্ত গোটা নিরাপত্তার বিষয় তদারকির জন্য এক জন অতিরিক্ত ডিজি পদমর্যাদার অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি হানা, জাতি-হিংসা, গণবিক্ষোভের মতো উদ্ভূত পরিস্থিতির আঁচ করে তার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকেই অযোধ্যায় এক জায়গায় চার জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত।
অযোধ্যা শহর এবং অযোধ্যা জেলাকে ঘিরে রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। জেলাকে মোট চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। স্পর্শকাতরতা অনুযায়ী লাল, হলুদ, সবুজ ও নীল— এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই লাল চিহ্নিত এলাকাগুলি মূলত অযোধ্যা শহর এবং তার লাগোয়া এলাকা। হলুদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মূল অযোধ্যারপাঁচ মাইল ব্যাসার্ধ এলাকা। এই দুই এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নিরাপত্তায় থাকবে। সবুজ ও নীল এলাকায় নিরাপত্তা দেবে রাজ্য পুলিশ। আর অযোধ্যার ১৪ মাইল ব্যাসার্ধ এলাকা এবং নীল হিসেবে চিহ্নিত অযোধ্যার লাগোয়া জেলাগুলি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ জানিয়েছেন, অযোধ্যা রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছি। সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় শান্তি কমিটিগুলির সঙ্গে নিরন্তর বৈঠক করার জন্য। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও রকমের উস্কানি বা প্ররোচনামূলক কিছু নজরে এলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: