দিল্লির ভোটপর্ব নিয়ে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেছে। গত কাল ভোটপর্ব মেটার পরে সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষাই জানিয়েছে, হ্যাটট্রিকের পথে অরবিন্দ কেজরীবাল। সমীক্ষার ফল নিয়ে আপ-সহ বিজেপি-বিরোধী শিবিরের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই রাত তিনটে পর্যন্ত দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে নিয়ে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। তার পর আজ দুপুর গড়াতে হঠাৎই শুরু হল আপ-বিজেপির নতুন লড়াই। তাতে নাম জড়াল নির্বাচন কমিশনেরও।

 

বিজেপি দাবি করল, সব বুথ-ফেরত সমীক্ষা ভুল। কারণ, সকলেই বেলা তিনটে পর্যন্ত তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আসল ভোট পড়েছে তার পরে। দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারির দাবি, ‘‘রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিজেপি ৪৮ আসন নিয়ে সরকার গড়ছে।’’ বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা বি এল সন্তোষ বললেন, ‘‘শেষ দু’ঘণ্টায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।’’ নয়াদিল্লি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী সুনীল যাদব বলে দিলেন, কেজরীবাল সেখানে হারবেন। 

 

ভোটযন্ত্রে কারচুপির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। বিরোধীরা সে কারণে ব্যালটে ভোটগ্রহণের দাবি তুললেও তা মানেনি নির্বাচন কমিশন। গত কাল আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ-ও ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন। আজ অমিত শাহের দলের দাবি শুনে বিকেল থেকে আপ-সহ নানা শিবির প্রশ্ন তুলল, ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেন কমিশন জানাচ্ছে না, কত ভোট পড়েছে? ১-২ শতাংশ হেরফেরেই তো ফল বদলাতে পারে। তা হলে কি কমিশন আর বিজেপি মিলে কোনও কারসাজি করছে? 

 

অবশেষে রাতে, ভোটপর্ব মেটার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে কমিশন জানাল, দিল্লিতে মোট ভোট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ। প্রশ্ন উঠল, ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ভোটারের দিল্লিতে এই পরিসংখ্যান জানাতে এত দেরি করল কেন কমিশন? বিশেষ করে যখন তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

কমিশনের ব্যাখ্যা— কোনও দেরি হয়নি। তথ্য জোগাড়ে যতটা সময় লাগে। কিন্তু কমিশন জানাল না, গতকাল সন্ধ্যার পরে কত ভোট পড়েছে। যার ভিত্তিতে বিজেপি দিল্লির খেলা ঘোরানোর দাবি করছে। আপের এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে বিজেপির ভোটের ফারাক এত বেশি হবে, যে সন্ধ্যার পরে যতই ভোট পড়ুক বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না।’’ বিজেপি নেতারা বলছেন, কেজরীবালরা তা হলে আগে থেকে ইভিএম নিয়ে গলা সাধছেন কেন? কেনই বা কমিশনকে তোপ দাগছেন? 

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: