আইএফএস, বাম এবং কংগ্রেসের জোটের আবহ যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই নানান সব প্রশ্ন ঘনীভূত হচ্ছে বাম শিবিরের অন্দরে। উঠছে পাল্টা যুক্তির স্রোতও। যে দ্বন্দ্বের কিছুটা আছড়ে পড়ছে নেটমাধ্যমেও। ব্রিগেডে জোটের শক্তি দেখাতে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন। কিন্তু, সভামঞ্চেই ছন্দপতনের ছবি। বক্তৃতা মাঝপথে থামিয়ে পোডিয়াম ছাড়তে উদ্যত হলেন অধীর চৌধুরী। সেই বিড়ম্বনা এড়ালেন মহম্মদ সেলিম ও বিমান বসু। আর নিজের ভাষণে আব্বাস সিদ্দিকিও স্পষ্ট করে দিলেন,'কংগ্রেসের প্রতি নমনীয় হবেন না। তাঁর স্পষ্ট বার্তা,''ভাগীদারি করতে এসেছি। কারও তোষণ করতে আসিনি।' রবিবার, ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন আব্বাস। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই আব্বাসের হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এখন ঘুম উড়ে গিয়েছে। ২০২১-এ আমরা মমতাকে শূন্য পাইয়ে দেখিয়ে দেব।’’ একইসঙ্গে রবিবারের সমাবেশে দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের আহ্বানও জানিয়েছেন আব্বাস। আইএসএফ-এর ওই নেতা যখন মঞ্চ থেকে একের পর এক ঝাঁঝালো মন্তব্য করছেন তখন রীতিমতো গর্জন শুরু করেছে ব্রিগেডের জনতা। যার কিছুটা ঝলক পাওয়া গিয়েছে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, সিপিএম নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমের বক্তব্য চলাকালীন। আব্বাসের প্রতি সমর্থন দেখে তাঁকে ‘ব্রিগেডের হিরো’ হিসাবেও আখ্যা দিয়েছেন ঘরমুখী বাম কর্মী, সমর্থকদের অনেকেই।

অন্যদিকে, জোটে ফাটল যে বেশ গভীর তা বোঝা গেল আব্বাস সিদ্দিকির ভাষণে। বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের নাম করলেন। অথচ অধীরের নামোল্লেখ নেই। ভাষণের শুরুতে আব্বাস বলে দিলেন,'বাম শরিকরা যেখানে দাঁড়াবে সেখানে অতীত ভুলে জেতাতে হবে।' আর শেষপর্বে আরও চাঁচাছোলা। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা বলেন,'অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাম শরিক দলের কথা বললেন। আপনি কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? স্পষ্ট জানিয়ে দিই, ভাগীদারি করতে এসেছি, তোষণ করতে আসিনি। ভাগীদারি চাই। আদিবাসী, ওবিসি ও মুসলিমদের হক বুঝে নিতে হবে। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে দরজা খোলা আছে।'       

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: