এ দুনিয়ার আর কতটুকু জানি! ফুটবল খেলাটার সৌজন্য দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের কথা আমরা টুকটাক শুনেছি। ফুটবলের বাইরে অবশ্য অনেকেই ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে খুব বেশি জানে না। এই অজ্ঞতাকে সম্বল করেই আমরা আজ জেনো নেবো দক্ষিণ আমেরিকার এক সুন্দর দেশ পেরুকে নিয়ে। সাহারা মরভূমিকে ভুলে যান, পেরুতে আছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বালিয়াড়ি দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি বালুকাময় জায়গার কথা মনে হলেই সাহারা মরভূমির কথা পড়ে। কিন্তু ভুল ভাবনা। দুনিয়ার সবচেয়ে বালিয়াড়ি আছে পেরুতে। দক্ষিণ পেরুর সেচুরা মরভূমির কেরো ব্লাঙ্কো বালিয়াড়ি ৩৮৬০ ফুট উঁচু।মাচু পিচু ( Machu Picchu) এখন দুনিয়ার নতুন সপ্তম আশ্চর্য গোটা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ইনকা সভ্যতার নিদর্শন মাচুপিচু। ২০০৭ সালে পেরুর এই ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যকে বিশ্বের নতুন সপ্তমাশ্চার্যের সম্মান দেওয়া হয়েছে। অপরুপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর আমাদের এ পৃথিবী। আমাদের এ পৃথিবী যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধার ঠিক তেমনি মানব সৃষ্ট সৌন্দর্য্যও কম নেই এতে। প্রাচীন মানুষদের তৈরি করা কত শত দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ণ আমাদের এই বসুন্ধরা। এমনই এক প্রাচীন, মানবসৃষ্ট কিন্তু অসাধারণ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি হল পেরুর মাচু পিচু শহর।

স্পেনীয় উচ্চারণে শহরটির নাম মাচু পিচু হলেও অনেকেই এর নাম উচ্চাররণ করেন মাচু পিকচু হিসেবে, যার অর্থ “পুরানো চূড়া”। আসলেই বেশ প্রাচিন শহর এটি। এমনকি কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারেরও আগের শহর এই মাচু পিচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরটির উচ্চতা প্রায় ২৪০০ মিটার বা, ৭,৮৭৫ ফিট। এটি পেরুর উরুবাম্বা  নামক এক উপত্যকার ওপরে পর্বত চূড়ায় অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে মাচু পিচু ইনকা শাসকদের রাজকীয় শহর অথবা, ইনকাদের খুবই পবিত্র এক শহর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বেশিরভাগ পুরাতত্ববিদ বিশ্বাস করেন যে, মাচু পিচুকে পাচাকুতিক (১৪৩৮-১৪৭২) নামক ইনকা রাজার শাসন আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় উড়তে পাড়া পাখি পেরুতে দেখতে পাওয়া যায় দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পাখি, যা আকাশে উড়তে পারে তা দেখতে পাওয়া যায় পেরুতে। পাখিটার নাম অ্যান্ডিয়ান কোনডর। আকাশে উড়লে মনে হয় যেন চাঁদ উড়ছে। এর উচ্চতা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ৪ ফুট, ওজন ২৭ পাউন্ড। ডানার ব্যবহার ছাড়াই আকাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উড়ে বেড়ায় এই পাখি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: