আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে পুরী থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আগের অবস্থান থেকে প্রায় ৫০ কিমি এগিয়ে এসেছে সেটি। সূত্রের খবর, কলকাতায় অশনির তেমন একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। সোমবার থেকে কলকাতায় হালকা বৃষ্টি। মঙ্গল থেকে শুক্র শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

আর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের জেরেই জল জমা নিয়ে প্রহর গুনতে শুরু করেছে কলকাতাবাসী। শহরবাসীর সেই আশঙ্কা কমাতেই আগে ভাগে পদক্ষেপ করা শুরু করল কলকাতা পুরসভা। জরুরি ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে পুরসভার আধিকারিক থেকে নিচুতলার কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জেরে শহর কলকাতার কোনও এলাকায় বেশিক্ষণ যাতে জল না জমে থাকে, তা নিশ্চিত করতে শনিবারই ডিজি (নিকাশি)-কে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলার দিকে আসার কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও ১০ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, ১১ থেকে ১৩ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। আর তাই সারা বছর পুরসভার যে কন্ট্রোল রুমটি চালু থাকে, তাকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: