সরকারি সূত্রের খবর, গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একটি ড্রোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (Air traffice control-ATC) সবুজ সংকেত (green signal) দিয়েছে । খবরের প্রকাশ, গত কয়েক দিন ধরে ওই সংস্থার ড্রোন পরিষেবার ট্রায়াল হয়েছে তিলোত্তমার আকাশে। হাওড়ার কদমতলা থেকে নমুনা সংগ্রহের পর ড্রোনের মাধ্যমে সল্টেলেকের সেক্টর ফাইভে একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়। দিনে দু'টি করে ড্রোন উড়িয়ে এই ট্রায়াল চলেছে বলে খবর।
এটিসি-র এক আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, শহরে ড্রোন (Drone) অপারেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সকাল সাড়ে ন'টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত। সড়ক পথে হাওড়ার কদমতলা থেকে সেক্টর ফাইভে ল্যাবের মাঝে দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। সেখানে আকাশ পথে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে লাগছে মাত্র ১৫ মিনিট এবং দুই স্থানের মধ্যে ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে ১৫ কিলোমিটার। ফলে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে সংগ্রহ করা নমুনা এবং টেস্টের রিপোর্ট। ট্রায়াল সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, নমুনা সংগ্রহ, টেস্ট রিপোর্ট দেওয়া, স্বাভাবিক অবস্থায় এক্ষেত্রে ছয় ঘণ্টার মতো সময় চলে যায়। ড্রোন ব্যবহার করে এই কাজ সামলালে তার তুলনায় অনেক কম সময় লাগছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এটিসি যে ছাড়পত্র দিয়েছে, তাতে বলে দেওয়া হয়েছে মহানগরীতে ৬০ মিটার (প্রায় ১৯৫ ফুট) এবং হাওড়া অঞ্চলে ১২০ মিটার (প্রায় ৩৯০ ফুট) উপর দিয়ে ড্রোন চালানো যাবে। যেসব অঞ্চলে দ্য ৪২-এর মতো উঁচু বিল্ডিং এবং গঙ্গার ধারে ফোর্ট উইলিয়ামের মতো ব্রিটিশ আমলের নিদর্শন রয়েছে, সেসব জায়গা এবং নবান্ন চত্বরকে ড্রোন ওড়ানোর জন্য নো-ফ্লাইং জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে ড্রোন পরিষেবার জন্য এটিসি আলাদা একটি সেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি বিমান চলাচলের সময় ড্রোনের রুট পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লির ড্রোন সংস্থাটি জানিয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ায় আপাতত ১৫টি কেন্দ্র খুলে ১৪টি রুটে ড্রোন চালানো হবে। অর্থাৎ শীঘ্রই এই দুই শহরের ১৪টি জায়গায় ড্রোনের সাহায্যে খাবার, ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট পৌঁছে দেওয়া সহ বিভিন্ন হোম ডেলিভারির সুবিধা পাবেন বাসিন্দারা।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel