বীরেন্দর সেওয়াগ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিউ করেন তখন
তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু টেস্টে তিনি যখন বারবার ব্যর্থ
হচ্ছেন, তখন অধিনায় সৌরভ তাঁকে টপ অর্ডারে তুলে নিয়ে আসেন। ওপেন করেন সেওয়াগ।
বাকিটা ইতিহাস। মুলতানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ৩০০ রানের ইনিংস আজও ক্রিকেট
প্রেমীদের মনে টাটকা। রোহিত শর্মার ক্ষেত্রেও খানিকটা একই ঘটনা ঘটল। সাদা বলের
ক্রিকেটে তিনি ওপেন করলেও টেস্ট ক্রিকেটে তিনি মিডল অর্ডারেই নামতেন। কিন্তু বারবার
ব্যর্থ হয়েছেন। ওয়ান ডে এবং টি২০ ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ফের
টেস্ট ক্রিকেটের দরজা তাঁর খুলে যায়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রাহানে এবং বিহারী
ভালো পারফরম্যান্সের দরুন প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা হয়নি।
ফের সুযোগ আসে হিটম্যানের কাছে। রাহুলের ধারবাহিক ব্যর্থতা তাঁর কাছে টেস্টে প্রথম একাদশের রাস্তা মসৃন করে দেয়। কিন্তু ওপেনার হিসাবে। যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জে সসম্মানে উতরেছেন রোহতি শর্মা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের ইনিংস এবং দ্বিতীয় ইনিংসেও ১২৭ রানের মারকাটারি ইনিংস। যা টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিয়েছে।
আর এই ইনিংসের সৌজন্যেই নতুন রেকর্ডের মালিক হলেন রোহিত শর্মা। এক টেস্টে সর্বোচ্চ ছক্কা এবং এক টেস্টে দুই ইনিংস শতরানের নজির গড়লেন মুম্বইকর।
অন্যদিকে ভারতকে প্রথম টেস্ট জিততে দরকার শুধু নটি উইকেট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন পাহাড় সমান রান টপকানো। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসেন! তবে পাল্লা ভারি বিরাট কোহলির।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel