চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফিরে এসে পরের দুই টেস্টেও আহামরি কিছু করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেও ব্যর্থ হন। কিন্তু আসল সময়ে জ্বলে ওঠে হিটম্যানের ব্যাট। ধীরে ধীরে দেড়শো পেরিয়ে যান। দুশোর সম্ভাবনাও দৃঢ় ছিল। কিন্তু মুহূর্তের ভুলে ফিরতে হয় মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে।

সাধারণত লম্বা জুটির ক্ষেত্রে একজন ফিরে গেলে আর একজনও বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না। রাহানের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। রোহিতের কিছুক্ষণ পরেই ফেরেন তিনি। আউট হন কিছুটা অধিনায়কের ভঙ্গিতেই। তফাৎ হল, কোহালি ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন, রাহানে সুইপ। দু’জনেরই ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গলে উইকেট ভেঙে যায়।

অন্যদিকে, প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। দিনের শেষে সেই দুর্যোগের ঘনঘটা অনেকটাই কাটল ‘হিটম্যান’-রোহিত শর্মার জন্য। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে অনেকটাই ভাল জায়গায় ভারত। ৮৮ ওভারে ছ’উইকেট হারিয়ে ৩০০ তুলেছে তারা। ক্রিজে রয়েছেন ঋষভ পন্থ (অপরাজিত ৩৩) এবং অক্ষর পটেল (অপরাজিত ৫)।

দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শুভমন গিলকে পায়ের ফাঁদে বন্দি করেন অলি স্টোন। জফ্রা আর্চার ছিটকে যাওয়ায় আচমকাই দলে ঢোকেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে বিরাট কোহালিকে বোল্ড করে গোটা চিপক স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে দেন মইন আলি। সবে পেসারদের সরিয়ে স্পিনারদের আনেন জো রুট। মইনের বল ড্রাইভ করে কভার দিয়ে মারতে যান কোহালি। অন্যান্য সময়ে নিখুঁত ভাবে তাঁর ব্যাট থেকে বল বাউন্ডারির দিকে ছুটলেও এ বার পরাস্ত হন। ব্যাট এবং প্যাডের ফাঁক দিয়ে গলে মইনের বল তাঁর অফ স্টাম্প নড়িয়ে দেয়। বিস্মিত কোহালি ভাবতেই পারেননি এ ভাবে আউট হতে পারেন।

ক্রিজে চেতেশ্বর পূজারা আসার পর রোহিতের সঙ্গে তিনি দলের হাল ধরেন। পূজারা স্বভাবোচিত ধীর-স্থির ভঙ্গিতে খেললেও রোহিত প্রথম থেকেই ছিলেন মারকুটে। বলের চেয়ে রান সংখ্যা সব সময়েই বেশি ছিল। কিন্তু লিচের বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে পূজারা ফিরতেই দ্রুততায় রাশ টানেন রোহিত। লাঞ্চের পর তাঁকে একদম শান্ত মেজাজে পাওয়া যায়। ধরে ধরে ইনিংস গড়েন।

Find out more: