অ্যাডিলেড টেস্টে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার একমাসের মধ্যে দারুণ কামব্যাক করে ভারত। গাব্বায় ৩২ বছর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি ফের নিজেদের দখলে রাখে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ড্রেসিংরুমে দলকে উজ্জীবিত করে রাহানে বলেছিলেন, ‘‘এই সময়টা আমাদের সবার কাছে খুবই মূল্যবান। অ্যাডিলেডে খারাপ সময় কাটিয়ে মেলবোর্নে ফেরা। তারপর সিডনি টেস্ট ড্র করার পর ব্রিসবেনে জয়। কোনও এক কিংবা দুজনের জন্য এই সাফল্য পাইনি। এই টেস্ট জয়ে দলের প্রত্যেকে অবদান রেখেছে। প্রতিটি ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ সবাই দারুণ স্পিরিট দেখাল। তাই তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’’

অন্যদিকে, ভাগ্য ভাল নামতে হয়নি, তবে পেনকিলার ইনজেকশনও নিয়েছিলেন জাডেজা। সিডনির মাঠে হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটই সারাদিন কাটিয়ে দেয় ভারত। জাডেজা বলেন, “আমি তৈরি ছিলাম, প্যাডও পরে ছিলাম। ইনজেকশনও নিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল ১০-১৫ ওভার ব্যাট করতে হবে। মানসিক ভাবেও প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আঙুলে চোট নিয়ে সব শট খেলতে পারব না জানতাম। তাই ভাবছিলাম কোন কোন শট খেলা যায়।” ভারতের জয়ের জন্য নিজেকে সব রকম ভাবে তৈরি করেছিলেন জাডেজা। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, “দলের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। জানিয়ে দিয়েছিলাম ভারত যদি জেতার মতো অবস্থায় থাকে আমি ব্যাট করতে নামব। সিডনিতে একটা সময় মনে হয়েছিল আমরা জিততেও পারি। পন্থ আউট হতে যদিও পরিস্থিতি পাল্টায়।” চোটের জন্য ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেও ছিটকে গিয়েছেন জাডেজা। বিরাট কোহালির পরিবর্তে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ব্যাট, বল, ফিল্ডিং সব বিভাগেই তিনি চমকে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: