মঞ্চটা ছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। তিনি সেভাবেই এগিয়েছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি এবং আইপিএলের (IPL) রেকর্ড যা কারও দখলে নেই। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৭০০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। তাও আবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দলের বিরুদ্ধে যাঁর সঙ্গে কোহলির বিবাদ সর্বজনবিদিত। প্রথম ইনিংস দেখার পর মনে হয়েছিল কোহলিরাই জিতবেন, ‘আপারহ্যান্ড’ নেবেন। কিন্তু এটা আইপিএল, সবথেকে বড় কথা টি২০ ক্রিকেট। ক্রমাগত ব্যর্থ হতে থাকা ফিল সল্ট (Phil Salt) কোহলির রেকর্ডের দিনটা পুরো আলুনি করে দিলেন।

সল্ট এবং ডেভিড ওয়ার্নার (David Waner) শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে ১৪ বলে ২২ করে আউট হয়ে যান ওয়ার্নার। কিন্তু অন্য দিনের মতো ভেঙে পড়েনি দিল্লির ইনিংস। সল্ট শুধু একদিকে নট আউট ছিলেন না, আরসিবি বোলারদের যথেচ্ছ ঠ্যাঙালেন, এমনকী মিস্ট্রি স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও (Wanindu Hasaranga) মার খেলেন। সল্ট যখন ৪৫ বলে ৮৭ রান করে আউট হলেন, ততক্ষণে ম্যাচ  আরসিবির হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। ফিনিশিং করে গেলেন অক্ষর প্যাটেল।

আজকের ম্যাচেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরপর তিন বলে দুটো ছয় এবং একটা চার খাওয়ার পর ফিল সল্টকে বাউন্সার দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। সেটা ওয়াইড হয়। এরপর সিরাজ কিছু বলেন এবং জবাবে শোনেনও সল্টের থেকে। এরপরেই খেপে ওঠেন ভারতীয় পেসার। ব্যাটারদের চুপ করতে বলেন। এমনকী বিরাট কোহলি পরিস্থিতি শান্ত করতে আসেন।

এটুকু ঘটনা ছাড়া এই ম্যাচ ছিল নির্বিবাদী। সাত উইকেটে সহজেই জিতেছে দিল্লি। ম্যাচের পর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বললেন, শিশির প্রায় দিল্লির ব্যাটারদের কিছুটা সুবিধা হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা ১৮০কে উইনিং স্কোর হিসেবেই ভাবছিলেন। লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। আজ তারা মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC), যাদের অবস্থান একেবারে তলানিতে। দিল্লির প্লে-অফে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আরসিবির কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ ছিল। দিল্লির আজ ছিল ব্যাঙ্গালোরের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া। তা-ই হল। মনে মনে আলাদা আনন্দ পাচ্ছেন সৌরভ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: