টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) পাঁচ উইকেট অনেকবার নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। আবারও নেবেন। কিন্তু ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে (Windsor Park) কেরিয়ারের ৩৩তম পাঁচ উইকেটের তাৎপর্যই আলাদা। এ যেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final 2023) না খেলানোর নিঃশব্দ জবাব। টেস্টের প্রথম দিন, ভারতের (India) ঘূর্ণি পিচ ছাড়া স্পিনার পাঁচ উইকেট নিচ্ছে এমন বড় একটা দেখা যায় না। তাঁর স্পিনের জালেই ১৫০ রানে আবদ্ধ হয়ে গেল ব্রাথওয়েটদের (Kraigg Brathwaite) ইনিংস।

ক্যারিবিয়ান ইনিংসে প্রথম আঘাত হানলেন অশ্বিনই, ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১২.৫ ওভার। বাঁ হাতি টেগনারিন চন্দ্রপলকে গুডলেন্থে মিডল স্টাম্প বরাবর বল দিলেন, চন্দ্রপল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করলেন। বল হালকা স্পিন করে অফ স্টাম্প নড়িয়ে দিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রাথওয়েট। ২৪.৩ ওভার বল করে ৬০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন ভারতীয় অফস্পিনার।  

৩ উইকেট নিয়েছেন আর এক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। একটা করে মহম্মদ সিরাজ (Mohammad Siraj) এবং শার্দূল ঠাকুর। জয়দেব উনাদকাট কোনও উইকেট পাননি। ভারত ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৮০ রান করে ফেলেছে। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধরে ফেলার কথা। ৬৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), অভিষেক করা যশস্বী জয়সওয়াল (Jashasvi Jaiswal) ৭৩ বলে ৪০ রানে খেলছেন। যে মেজাজে তিনি ব্যাট করছেন তাতে অভিষেকে শতরান করে ফেলতেই পারেন।


ডোমিনিকার পিচে পেসারদের জন্য কিছুই নেই। স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারে। অথচ এক সময় এই দ্বীপগুলোতেই গতি আর বাউন্স থাকত। জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিংরা আগুন ঝরাতেন। এই ‘ফিয়ারসাম ফোরসাম’ প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের শুধু আউট করতেন না, হাসপাতালেও পাঠাতেন। পরবর্তী যুগে কার্টলি অ্যামব্রোজ, কোর্টনি ওয়ালশও বিশ্বমানের বোলার ছিলেন। কিন্তু এখন সে রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের দশা আরও খারাপ। টেস্ট খেলার মানসিকতা, ধৈর্য, দক্ষতা কিছুই আছে বলে মনে হয় না। অভিষেক ঘটানো অ্যালিক আথানাজকে দেখে একমাত্র মনে হল কিছু করে দেখাতে চান। অশ্বিন-জাদেজার মতো বিশ্বমানের স্পিনারের বিরুদ্ধে ভালো ভালো শট খেললেন। হাফ-সেঞ্চুরি বাঁধা ছিল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে খারাপ শট খেলে তিনিও ৪৭ রানে আউট হলেন। আথানাজের পর সর্বোচ্চ রান ব্রাথওয়েটের ২০। এরপর আর কিছু বলার থাকে না।    

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: