যাঁরা তৃণমুল কংগ্রেস দলটাকে জন্ম হতে দেখছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী জানেন, তাঁদেরকে আর নতুন করে মনে করিয়ে দিতে হবে না যে ২১শে জুলাই শুধুমাত্র একটা ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, ২১শে জুলাই আর ৫টা দিনের মতো সাধারণ দিন নয়, ২১শে জুলাই একটা রক্তাক্ত ইতিহাস, ২১শে জুলাই একটা সংগ্রাম, ২১শে জুলাই একটা বাঁধভাঙা আবেগ। একের পর এক নির্বাচনে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের কারচুপি ধরে ফেলে তদানীন্তন যুব কংগ্রেস নেত্রী বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  "No Identity No Vote" দীপ্ত ঘোষণাকে সামনে রেখে হাজার হাজার যুবকের পদধ্বণিতে সেদিন কেঁপে উঠেছিল তৎকালীন শাসকের হৃৎপিন্ড, তাইতো সেদিন ভয় কে চেপে রাখতে না পেরে পুলিশ ও ক্যাডার দিয়ে কাপুরুষোচিত হামলা করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। সেই হামলায় শহীদ হয়েছিলেন ১৩ জন তরতাজা যুবক,
একনজরে ১৩ জন শহীদ-----
◾বন্দনা দাস 
◾মুরারী চক্রবর্তী 
◾তপন মণ্ডল 
◾কল্যাণ ব্যানার্জি 
◾বিশ্বনাথ রায় 
◾অসীম দাস  
◾কেশর বৈরাগী 
◾শ্রীকান্ত শর্মা 
◾দিলীপ দাস 
◾রঞ্জিত দাস 
◾প্রদীপ দাস 
◾মহম্মদ খালেক
◾ইনু।
আজও এই ১৩ জন বীর শহীদকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বাংলার আপামর সংগ্রামী সাথীরা ভিড় করেন ধর্মতলার শহীদ স্মরণসভায়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও শহীদ স্মরণের ডাক দিয়েছেন বাংলার জনগণমনঅধিনায়িকা বাংলার মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালচক্রে এবছর যেন সেই পুরানো প্রেক্ষাপট হাজির, বাংলার হার্মাদরা বদলে গিয়ে হয়েছে বিজেপির উন্মাদ। সারাদেশে এই উন্মত্ত হনুমানদের অত্যাচারে দেশ আজ বিপন্ন, দেশের গুণী ব্যক্তি থেকে সাধারণ মানুষের কোন অধিকার নেই নিজেদের মত প্রকাশ করার। যাঁদের হাতে ক্ষমতা আছে বলে একে একে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এমনকি সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত আজ বিক্রিত।এঁদের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য হল যেন তেন প্রকারেন ক্ষমতা দখল করা, তারজন্য যে কোন কাজ করতে এরা প্রস্তুত। দেশের সম্মান আজ লুন্ঠিত। দেশবাসী আজ নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের সংবিধানও আজ সংকটে। মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকারও আজ "EVM" নামক মেশিনের দ্বারা বিকৃত করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের স্বার্থে, দেশকে দানবীয় লুঠেরাদের থেকে বাঁচাতে, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাংলা তথা ভারতবর্ষের অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জী ডাক দিয়েছেন- " EVM হঠাও ব্যালট লাও"! আসুন দলনেত্রীর ডাকে ব্যক্তিগত স্বার্থ মুছে আরও একবার লড়াইয়ের ময়দানে। দেশকে গোরু, গোবর আর ধর্মের ফাঁদে ফেলে মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা থেকে মুক্ত করে নবজাগরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে মমতা বন্দ্যোপাধায়ের হাত শক্ত করতে দলনেত্রীর ডাকে আসুন আগামী ২১শে জুলাই বাংলার সব পথকে এক স্রোতে মিশিয়ে পায়ে পায়ে ধুলো উড়িয়ে সবাই একসাথে মিলিত হই ধর্মতলার মহামিলনের মাঠে।


Find out more: