নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এক কিলোমিটারের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে সব অপারেটরকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয় এই সংস্থার পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা জানানো হয়।
সূত্র জানিয়েছে, দেশটির এমন সিদ্ধান্তের ফলে প্রভাব পড়বে কোটি গ্রাহকের ওপর। সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে এরইমধ্যে সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশের সবকটি অপারেটর। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বিটিআরসি এ নির্দেশনা দিয়েছে। একটি মোবাইল অপারেটরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এ নির্দেশনার ফলে চার অপারেটরের প্রায় দুই হাজার বিটিএস বন্ধ করা হয়েছে। সব অপারেটরই এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে।
দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেওয়া চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল কাভারেজ বন্ধ থাকবে। বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত চিঠিটি গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এতে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশটি কার্যকর করে বিটিআরসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, “সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি ‘সাময়িক’ বলেও জানান তিনি।
নিরাপত্তা স্বার্থে ও গোপনীয়তার জন্য স্মার্টফোনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত সরকার । এবারনৌঘাঁটি হোক বা নৌবহর কোনও জায়গাতেই আর স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না নৌসেনারা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপও। নিরাপত্তার কারণে এবং চরবৃত্তি রুখতে এমন পদক্ষেপ বলেই নৌসেনা সূত্রে খবর।
চরবৃত্তির অভিযোগে গত ২০ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তপনম, মুম্বই এবং কর্নাটকের কারওয়ার থেকে সাত ভারতীয় নৌসেনাকে গ্রেফতার করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। ‘হানি ট্র্যাপ’-এর শিকার হয়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ওই সাত জন ছাড়াও হাওয়ালা কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা বিশাখাপত্তনমের এক ব্যবসায়ীকে।
অপারেশন ‘ডলফিন নোজ’ নামে ওই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তা জানান, ধৃত সাত নৌসেনা ২০১৭–তে নাবিক হিসেবে বাহিনীতে যোগ দেন। অভিযোগ, বাহিনীর নিয়ম ভেঙে ফেসবুকে অন্য নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাঁরা। ২০১৮–তে ফেসবুকের মাধ্যমেই এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে। পরে জানা যায়, এক জন নন, তিন জন মহিলা এই ঘটনায় যুক্ত। তাঁরা নৌসেনাদের ব্ল্যাকমেল করে নৌবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন।
সেনাবাহিনীতে হানি ট্র্যাপ–এর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু ভারতীয় নৌসেনায় এমন ঘটনা যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে বাহিনীর শীর্ষ মহলকে। এমন ঘটনা আটকাতে তড়িঘড়ি স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel