সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য। এদিন কলকাতাতেও ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ছিল। যার জেরে দৃশ্যমাতা কম। রাস্তায় যানবাহনের গতি কম ছিল। ট্রেন দেরিতে চলেছে। কুযাশা থাকায় সেভাবে শীত অনুভূত হয়নি। আজ, রবিবার মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে ব্যাপক ভিড়। ভোর থেকে ছুটির দিনে গঙ্গাসাগরগামী গাড়ি দেখা গিয়েছে রাস্তায়। এদিন গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীরা স্নান করার জন্য ভোর থেকে জড়ো হন। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সব গাড়িই ধীরে চলেছে।

কলকাতায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার দাপট। সকালে দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যায়। দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ ও বুধবার বৃষ্টির  সম্ভাবনা ।
সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট নিউটাউন সহ বিমানবন্দর এলাকা ছিল ঘন কুয়াশাবৃত। দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য অধিকাংশ গাড়িতেই জ্বালানো ছিল এমার্জেন্সি আলো। এজন্য কলকাতা বিমানবন্দরে বেশিরভাগ বিমানের অবতরণ এবং উড়ান  সময় মেনে হয়নি। হাওড়া, শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচলেও কুয়াশার প্রভাব পড়ে।

দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা ও হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে সকালের দিকে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে আগামীকালও । দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যেতে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাতে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘন্টায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর কোচবিহারে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা।

সাগরে একযুগ পর উষ্ণ মকরস্নান। ২০১০ সালের পর এমন উষ্ণ মকরস্নান। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটা উপরে। উত্তরের শীতল বাতাস উধাও। দক্ষিণ-পশ্চিমের জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের প্রভাবে গতকাল থেকেই তাপমাত্রার পরদ চড়ে যায়। মকরসংক্রান্তিতে যে তাপমাত্রা ছিল কয়েক দশকে সর্বোচ্চ। এত ঊষ্ণ পৌষ সংক্রান্তি দেখা যায়নি। অনেককে সোয়েটার, শীত পোশাক খুলে হাতে করে বাসে, গাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।

গঙ্গাসাগরে  মকর সংক্রান্তির দিন ভোররাতে ও সকালের দিকে ঘন কুয়াশার চাদর। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে । রাতের দিকে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস বইতে পারে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার গতি বেগে।

নতুন করে পরপর দুটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে একটি বুধবার ও আরেকটি শুক্রবার। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। এই উচ্চচাপ বলয় থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।

আগামী চার পাঁচ দিন কুয়াশার চাদর থাকবে পাঞ্জাব হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং বিহার পর্যন্ত।
চরম শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা রাজস্থানে বুধবার পর্যন্ত। সোমবার, মঙ্গলবার চরম শৈত্য প্রবাহ চলতে পারে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড় এবং রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লিতে বুধবারেও চরম শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা থাকছে।

 আগামী তিন দিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা নামবে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত। মধ্যপ্রদেশ সহ মধ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। পূর্ব ভারতেও তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত আগামী দু-তিন দিন। বাংলা, বিহার, ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা নামতে পারে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন পৌষ মাসের শেষ দিন। বাড়িতে বাড়িতে খিচুড়ি, পীঠে হয়। লক্ষ্মী মাসও বলেন অনেকে পৌষ মাসকে। সেজন্য আজ বাংলার ঘরে-ঘরে একটি বিশেষ দিন। সকাল বেলাতে সব্জির হাটগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দূরের গ্রাম থেকে কলকাতা ও কলকাতা শহর লাগোয়া সব্জি বাজারে ভোর থেকেই ছোট গাড়িতে করে সব্জি বিক্রির জন্য আনতে দেখা গিয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: