এ বছরে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রয়েছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ (CWC 2023), যা আয়োজিত হবে ভারতে (India)। তার আগে এশিয়া কাপ (Asia Cup) আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। কিন্তু ভারত সেখানে খেলতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। জবাবে পাকিস্তানও বলে দিয়েছিল, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলবে না তারা। পরিবর্তে তাদের ম্যাচ খেলানো হোক বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির কিছুটা অগ্রগতি হল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিসির (ICC) এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, ভারতে খেলতে রাজি পাকিস্তান তবে তাদের বেশিরভাগ ম্যাচ দিতে হবে কলকাতা (Kolkata) এবং চেন্নাই শহরে (Chennai)।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ওই সূত্র বলেছেন, বিসিসিআই (BCCI) এবং ভারত সরকার (Government of India) কী সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। তবে বিকল্প বেছে নিতে দেওয়া হলে পাকিস্তান কলকাতা এবং চেন্নাইতে খেলতে চাইবে। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছিল পাকিস্তান। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুব খুশি হয়েছিল তারা। চেন্নাইও তাদের জন্য স্মরণীয় ভেন্যু। এই দুই জায়গায় নিরাপদ বোধ করছে পাকিস্তান।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হবে। বিশ্বকাপের জন্য দেশের ১২টি মাঠকে শর্ট লিস্ট করেছে বিসিসিআই। সেগুলো হল আমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, ধরমশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, ইন্দোর, রাজকোট এবং মুম্বই। ধরে নেওয়া যায়, ফাইনাল ম্যাচ আয়োজিত হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। এবারের বিশ্বকাপে সমস্ত নক আউট এবং লিগ ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলা হবে।

ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হলে তা কোন মাঠে আয়োজিত হবে তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের (Narendra Modi Stadium) দর্শকাসন সংখ্যা ১,৩২,০০০। সেখানে খেলা হলে আইসিসির আর্থিক লাভ হবে সবথেকে বেশি। তবে ফাইনাল যেহেতু ওখানেই হবে তাই ভারত-পাক দ্বৈরথ না হওয়ারই সম্ভাবনা।
২০২১ সালের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল পঞ্জাবের (Punjab) মোহালি স্টেডিয়ামে। দূরত্ব কম হওয়ার কারণে কম খরচে ওয়াঘা সীমান্ত (Wagha Border) পেরিয়ে খেলা দেখতে আসতে পেরেছিলেন পড়শি দেশের সমর্থকরা। তার আগে ১৯৯৬ সালে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুই দেশের হাই-ভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ অন্য। দুই দলের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে।  

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: