বাংলার চলচিত্র ও ধারাবাহিকের পাড়া হিসাবে খ্যাত টালিগঞ্জে দখল কে পাবে না তা নিয়ে গতকালই ভোট হয়েছে । অরাজনৈতিকভাবে ভোট হলে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ধরন দেখেই এটা স্পষ্ট মূলত তিনটি শিবির টালিগঞ্জ পাড়ার দখলে লড়াই করেছে । বিশ্বাসভাইদের বকলামে তৃণমূল , গেরুয়া শিবির ও বামপন্থীরা । কিন্ত পল বের হওয়ার পর দেখা গেল , মূলত বামপন্থী শিল্পীরাই টালিগঞ্জ পাড়ার দখলে এগিয়ে । বিশ্বাসভাইদের যে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তা কেটে গেল । কয়েকজন অবশ্য জিতেছেন । তবে তাঁদের তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না । ভাল খবর হল টালিগঞ্জ পাড়ার দখলে সবচেয়ে পিছিয়ে গেল গেরুয়া শিবির । তাদের একজনও নির্বাচিত হতে পারেননি । যদিও বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমত ‘‘আর্টিস্ট ফোরাম বরাবর রাজনীতিকে ভোটের বাইরে রাখার চেষ্টা করেছে। মাঝখানে জোর করে ফোরামে রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছিল।কিন্তু ভোটের ফল বলে দিচ্ছে, রাজনীতির রং ছেড়ে নিরপেক্ষ ভাবে যাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের দিকেই অধিকাংশের সমর্থন গিয়েছে।’’
যাঁর অঙ্গুলিহেলনে টালিগঞ্জ পাড়া চলে বলে শিল্পী-কলাকুশলীদের অধিকাংশের মত, সেই স্বরূপ বিশ্বাসও প্রায় একই সুরে বললেন,‘‘যাঁরা আর্টিস্ট ফোরামে রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন ধাক্কা তাঁরাই খেয়েছেন। শিল্পীরা একজোট হয়ে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই আরও বলেন, ‘‘যাঁরা জিতেছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি তাঁরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সব শিল্পীর ভালর জন্যই কাজ করবেন।’’ কিন্তু অনেকে যে বলছেন, ভোটের এই ফল স্বরূপ বিশ্বাসের জন্য একটা বড় ধাক্কা? স্বরূপের জবাব: ‘‘এই ভোটের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। আমরা কখনও এর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা করিনি। এখানে যদি তৃণমূলের প্যানেল বলে কিছু থাকত এবং সেই প্যানেল যদি হারত তা হলে বলতে পারতেন, আমাদের জন্য ধাক্কা। কিন্তু যাঁরা জিতেছেন, সেই শংকরদা বা অরিন্দমদা আমার বাইরে নন। ওঁদের দু’জনের সঙ্গেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক। আবার ভরত কল এবং রাহুল চক্রবর্তীও আমার খুব বন্ধু।’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel