ইরান আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ঝামেলার পর যুদ্ধের পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল। তবে ইরানের সামরিক বাহিনীর ভূল মিসাইলে প্রাণ হারালেন শতাধিক বিমান যাত্রী। এরপরেই আজ জনসমক্ষে সেকথা স্বীকার করলেন।
গত বুধবার ইরানে যাত্রীবাহী ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের বিমান বাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিযা আজ সাংবাদিকদের সামনে জানান অনিচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের বিমান আঘাত হানার জন্য দুঃখিত।
আজ শনিবার হাজিযাদেহ বলেন, রেভ্যুলেশনারি গার্ডের বিমান বাহিনী মর্মান্তিক এই ঘটনার পুরো দায় স্বীকার করে নিচ্ছে এবং দেশের (ইরানের) সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের দেওয়া যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আমি যখন দেশের পশ্চিমে ছিলাম, তখন ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটির হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনার কথা শুনি।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন নিশ্চিত হতে পারি যে, এটা ঘটেছে; আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে, খবরটি শোনার আগে কেন আমার মৃত্যু হল না।তিনি আরো বলেন, আমাদের জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি এবং আজ আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর করুণায় নিজেদের সুনাম অর্জন করতে পেরেছি এবং এ ধরনের পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করার জন্য ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, ওই সময় পরিস্থিতি একেবারেই স্পর্শকাতর এবং ক্রিটিক্যাল ছিল। কারণ ওই সময় আমরা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছিলাম। এমনকি আমাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে বলেও খবর পেয়েছিলাম। সে কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি ঘটে গেছে। যদিও বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরানেরই। সে কারণে ওই বিমান দুর্ঘটনায় ইরানই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের সরকারি কর্মকর্তারাও সে কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, নিহত একশ ৭৬ জনের মধ্যে ৮২ জন ইরানের, কানাডার ৬৩ জন, ইউক্রেনের ১১ জন, সুইডেনের ১০ জন, আফগানিস্তানের চারজন, জার্মানির তিনজন এবং ব্রিটেনের তিনজন।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel