বাঙালিদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম হল শাক৷ পালং থেকে পুঁই, নটে, হেলেঞ্চা সবই আমাদের ভীষণ প্রিয়৷ ভাজা হোক কিংবা চচ্চড়ি শাক খেতে বাঙালিদের জুড়ি মেলা ভার৷
চিকিৎসকরাও শাক খেতে উৎসাহ দেন৷ কারণ, প্রতিটি শাকেই থাকে নানা ধরনের মিনারেল, ভিটামিন, প্রো-ভিটামিন ফাইবার-সহ আরও অনেক কিছু৷ এছাড়া শাকে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে৷
সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে, শাকে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় যৌগ থাকে৷ যা শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে৷ সুরক্ষিত রাখে দেশের কোষগুলিকে৷
অথচ শাক কিন্তু সেইভাবে যত্ন সহকারে চাষবাস করা হয় না৷ কখনও পুকুরপাড়ে, আবার কখনও চাষের জমির আলের ধারে আগাছার মতোই বিস্তার লাভ করে বিভিন্ন ধরনের শাক৷
আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা ওই উদ্ভিদ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, সুগার-প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর করে৷
একদল গবেষকের দাবি, শাকে ভিটামিন কে থাকে৷ যা অস্থিক্ষয় প্রতিরোধ করে৷ ফলে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের প্রবণতা কমিয়ে দেয়৷
অনেক শাকে ভিটামিন সি থাকে৷ এর ফলে ওই ধরনের শাক নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ত্বক-চোখ-হাড় ভালো থাকে৷
আর শাকের এই গুণাগুণ শুধু আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, সেই বৈদিক যুগ থেকেই মানুষ করছে৷ ভেষজ চিকিৎসায় একাধিক শাকের কথা বলা হয়েছে৷ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হত৷ 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: