শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। কিন্তু তা কতটা প্রবল হবে, সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় 'যশ' : ল্যান্ডফল তথ্য

১) আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুয়ায়ী যশ-এর গঠন বা ফর্মেশন সম্পূর্ণ হবে ২২ মে। অর্থাত্ তার পর থেকে ডপলার রেডারে যশ-এর গতি প্রকৃতি, চরিত্র ও শক্তি ধরা পড়বে।

২) গঠন সম্পূর্ণ করে ২২ মে বিকেলের পর ঘূর্ণিঝড় যশ স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। এটি চলবে ৩-৪ দিন ধরে। জলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণি তরঙ্গ তৈরি করছে।

৩) এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের অনুমান যশ-এর ল্যান্ডফল হতে পারে ২৫ মে মধ্যরাত থেকে ২৬ মে ভোরের মধ্যে। যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের গঠন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি তাই এর অভিমুখও এখনও স্পষ্ট নয়।

৪) আবহাওয়া দফতরের অনুমান ল্যান্ডফলের সময় যশ-এর গতিবেগ হতে পারে ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। প্রসঙ্গত, আমপান ল্যান্ডফল করেছিল সর্বোচ্চ ১২১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে।

ঘূর্ণিঝড় 'যশ' : মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসনকে নবান্নের নির্দেশিকা

১) ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে।

২) সেচ, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

৩) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনও এলাকায় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তা যাতে দ্রুত ঠিক করা যায়, তার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হবে, জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

৪) যে সব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সব এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানোর ব্যবস্থা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে থেকেই করতে হবে। স্থানীয় স্কুল-কলেজে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) ত্রাণ শিবিরে চিঁড়ে-গুড় জাতীয় শুকনো খাবার, প্যাকেট-জল, ত্রিপলের মতো ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে ত্রাণ শিবিরে যাতে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকে, সেই বিষয়টিও মাথা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকায় দ্রুত উদ্ধারকার্যের জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি রাখতে হবে।

৬) পাশাপাশি সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যাওয়া বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কেউ আছেন কি না, তা জানতে আকাশপথে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে উপকূল বাহিনীকে।

৭) কোনও এলাকায় গাছ পড়লে, বাঁধ ভাঙলে বা বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে তা দ্রুত মেরামতির আলাদা দল তৈরি রাখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

৮) তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং পিপিই কিট মজুত রাখতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোভিডবিধি মেনেই সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: