চিন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ভারতীয়দের কেউই করোনা ভাইরাসে  আক্রান্ত নন। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফলে চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ভারতীয় পড়ুয়া ছাড়া এ দেশে আর কারও দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। কেরলের বাসিন্দা ওই তিন পড়ুয়াই এ মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

গত সপ্তাহে চীনের উহান শহরে আটকে থাকা ৩২৪ জন ভারতীয়কে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে করে এ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পরের দফায় ৩২৩ জনকে নিয়ে আসে আরও একটি বিমান। দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁদের কয়েক জনকে হরিয়ানার মানেসরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ শিবিরে রাখা হয়। পাশাপাশি, বেশ কয়েক জনকে নিয়ে যাওয়া হয় ছাবলায় ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনীর শিবিরে। প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষার পর এ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিশ্চিত হয় যে কারও দেহেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এ দিন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৫টি উড়ানের ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭৫০ জন যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও দেহেই করোনাভাইরাসে সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি।

 

ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই আশ্বাস মিললেও চিনের ছবিটা এখনও যথেষ্ট করুণ। সে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৫৬৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, গোটা বিশ্বে ২৭টি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজারেরও বেশি।

 

এই ভাইরাসের মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে চিন। হুবেই প্রদেশের উহান শহরই ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি প্রশাসনের পরামর্শ, প্রতি দিন নিজের দেহের তাপমাত্রার উপরে খেয়াল রাখুন। এবং অস্বাভাবিক কিছু দেখলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রিপোর্ট করারও পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: