দিল্লী সরকারের তরফ থেকে কড়া  নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে কোন ধরনের জমায়েতের জন্য। অনান্য রাজ্যের তরফ থেকেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সাতারায় গত কাল পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই পাঁচ জন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, যাতে পাঁচশোর বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বেশির ভাগ রাজ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু অফিসে বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হচ্ছে। বন্ধ সিনেমা হল, শপিং মলের মতো বিনোদনস্থল। জমায়েত আটকাতে বন্ধ বিয়েও। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক, বেলুড় মঠ, পুরীর মন্দিরেও।

 

ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১১৪। মারা গিয়েছেন ২ জন। একশো কোটির দেশে সংখ্যাটা কি খুব ভয় পাওয়ার মতো? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার অতটাও বেশি নয়। সে দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইবোলা বা মার্স। কিন্তু এই ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়ায়। ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা মারাত্মক হয়। এর খুব অল্প শতাংশ লোকও যদি মারা যান, সেই সংখ্যাটাও কিন্তু ভয়ানক। তিন মাসে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ঘটেছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজারেরও বেশি জনের। এর মধ্যে ৬৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

ভারত এখন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। অর্থাৎ কি না, চিন, ইটালি, ইরানের মতো আক্রান্ত দেশ থেকে রোগ নিয়ে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সেই সংখ্যাটা একশো ছাড়ালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। কিন্তু ‘সংক্রমণ-হার’ এখানেই যাতে আটকানো যায়, তার জন্যই ব্যাপক সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় যা হল, ‘ফ্ল্যাটনিং দ্য কার্ভ’।

 

ভারতের পরিস্থিতি যাতে চিন বা ইটালির মতো না-হয়, তার জন্য আগামী তিরিশটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থ বা পঞ্চম সপ্তাহেই ভয়াবহ ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে অন্য দেশগুলোতে। সেটা রুখতেই ধর্মস্থানগুলোর দরজায় ‘তালা’ দেওয়া হচ্ছে, বন্ধ সিনেমা হল, অফিসে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘বড় এলাকা জুড়ে সংক্রমণ ঠেকাতে ৩০ দিন হাতে রয়েছে ভারতের। এটাই সময়...।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: