রবিবার আক্রান্ত তিন জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা মেলেনি। আক্রান্তের রিপোর্ট এই প্রথম নেগেটিভ, তাই স্বস্তির শ্বাস ফেলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। খবরে মিলেছিল স্বস্তি। কিন্তু রাত হতেই আবারো নতুন করে আক্রান্তের খবর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলল।

 

সুত্রের খবরানুসারে আলিপুরের সেনা হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান ১৭ মার্চ দিল্লি থেকে ফেরেন। ২১ মার্চ পর্যন্ত হাসপাতালে কাজ করেন। ২৩ তারিখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৮ তারিখে ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে ৫২ বছরের ওই চিকিৎসককে ভর্তি করানো হয় সেনা হাসপাতালের কোভিড-আইসোলেশনে। সিটি স্ক্যানে ভাইরাল নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত মেলায় তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয় রবিবার। করোনা ধরা পড়ে। রাজ্যের কোনও চিকিৎসক এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাঁর ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্‌রোগের সমস্যা রয়েছে। তাঁকে আইসিইউয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তার খোঁজ চলছে। কী করণীয়, সেই বিষয়ে সেনা হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা।

 

নাইসেডের খবর, এ দিন অন্য যে-তিন জনের শরীরে করোনা মিলেছে, উত্তরবঙ্গের ৪৪ বছরের মহিলার মতো ‘সারি’ (সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) প্রক্রিয়ায় তাঁদের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ওই তিন জনের মধ্যে বরাহনগরের ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধ লেক টাউনের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। ২৮ মার্চ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকতলার একটি হাসপাতালে। তিনি আছেন আইসিইউয়ে। মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দা তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি জ্বর নিয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ দিন আক্রান্ত বাকি দু’জন ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫৯ এবং ৭৭ বছর বয়সি ওই দুই রোগীই পুরুষ। ৫৯ বছরের প্রৌঢ় হুগলির বাসিন্দা, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী। সপ্তাহান্তে ট্রেনে হুগলিতে ফিরতেন ডায়াবিটিস ও হাইপারটেনশনের ওই রোগী। অর্থাৎ তাঁর রেল-যোগ একটা আছেই। ১৬ মার্চ থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার ভর্তি হন হাসপাতালে।

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: