গত কয়েক বছরে দুর্গাপুজোর সঙ্গে ব্যোমকেশ সমার্থক হয়ে গিয়েছে। তবে এ বার প্রযোজনা সংস্থা থেকে পরিচালক, ব্যোমকেশ থেকে অজিত... সকলেই নতুন। পুরনো মুখ বলতে শুধু অঞ্জন। পরিচালক নন, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে সায়ন্তনকে গাইড করছেন তিনি।

এবারে মগ্ন মৈনাক অবলম্বনে লেখা চিত্রনাট্য পরিবেশনেই ব্যাস্ত সবাই।ব্যোমকেশের চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘প্রস্তুতি বলতে প্রথমে গল্পটা পড়া। দ্বিতীয়ত, অঞ্জনদার লেখা চিত্রনাট্য পড়ে চরিত্রটার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা। আর শেষ কয়েক বছরে দর্শক যে ভাবে ব্যোমকেশকে দেখেছেন, সেই ভাবটার কাছাকাছি থেকেও নতুনত্ব বার করে আনা।’’ 

রুদ্রনীল বললেন ‘‘অঞ্জনদার পরে অনেকেই ওয়েব-বড় পর্দায় ব্যোমকেশ করেছেন। তবে চিত্রনাট্যের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, অজিত ক্রমশ গায়ে লেগে থাকা চরিত্রে পরিণত হয়েছে, যে সংলাপ বলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। ব্যোমকেশ সত্যান্বেষী, অজিত ব্যোমকেশমুখী। তাই আগে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের চেয়ে খারাপ যেন না করি, সেটাই চেষ্টা।’’

বড় পর্দার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সায়ন্তনের মত ‘‘চ্যালেঞ্জিং, আবার নয়ও। কার ব্যোমকেশ বেশি ভাল বা কতটা খারাপ, সেটা নিয়ে আলোচনা হবেই। সব রকমের সমালোচনার জন্যই প্রস্তুত আমি। আর সত্যি বলতে, ব্যোমকেশ বড় পর্দায় করব বলে স্বপ্ন দেখেছি। তাই কোনও রকম ভয়, দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম না।’’

অঞ্জনের মতে  ‘‘এই ছবির সাফল্য বা ব্যর্থতার দায় আমার নয়। আমার প্রযোজক-বন্ধু আমার লেখা স্ক্রিপ্টগুলি চেয়েছিলেন। না হলে ওগুলো নষ্ট হত,’’

পরমব্রতের কথায়, ‘‘আমি বই পড়ি। নিজের মতো থাকি। একে-ওকে ডেকে খোঁজ নেওয়া, কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে করার জন্য রুদ্র তো আছেই।’’

আবার রুদ্রনীলের কথায় ‘‘ইউনিটের সকলের মধ্যে বন্ডিং থাকতেই হবে। সেনাদের মতো কঠিন রুটিন মানা এখানে চলে না।’’

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: