অনেক তদন্তের পর জানা গেছে যে গাড়ির এক্সিডেন্টের দায় আরসালান মাথায় নিয়েছিলেন সেই গাড়িটি তিনি চালাচ্ছিলেননা। গাড়িটির চালক ছিলেন আসলে তাঁর দাদা রাঘিব। তাহলে দায় কেন নিজের মাথায় নিতে গেলেন আরসালান? প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শেক্সপিয়র সরণিতে জাগুয়ার দুর্ঘটনার রহস্য বৃহস্পতিবার আরও ঘনীভূত হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে বড় ছেলে রাঘিবকে বাঁচাতে তাঁর ‘নির্দোষ’ ছোট ভাই আরসালানকে প্রথমে পুলিশের হাতে কেন তুলে দিয়েছিল পারভেজ পরিবার? তদন্তকারীদের কাছে এটা বড় রহস্য। পরিবারের লোকজন এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি। জানা যায়নি, রাঘিব ১৯ অগস্ট, সোমবার দুবাই থেকে কলকাতায় ফিরে এলেও তাঁকে গ্রেফতার করতে আরও দু’দিন দেরি হল কেন? রাঘিবের ফেরার কথা তাঁর পরিবার কেনই বা গোপন রেখেছিল?
পুলিশের দাবী দুর্ঘটনার রাতে আরসালান নন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা রাঘিব। প্রশ্ন উঠেছে, আরসালান গাড়ি চালাচ্ছিলেন না জেনেও তাঁর মামা মহম্মদ হামজা কেন তাঁকে থানায় নিয়ে গেলেন? তিনি রাঘিবকে বাঁচাতে চাইলেন কেন? আরসালানের বাবা পারভেজ আখতার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছিল, জানা নেই। এ দিন জামিন পেয়ে আরসালান বাড়িতে ফিরলেও সে আতঙ্কে রয়েছে।’’ পুলিশ রাঘিবকে জেরা করে জেনেছে, ২০১৭ সালেও লেক টাউনে পোর্সে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটান তিনি। কিন্তু কে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরেছিল, পুলিশ সেই সময় তা জানতে পারেনি। ওই বছরেই সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ওঠে আরসালান সংস্থার বিরুদ্ধে। সেই গাড়িটিও রাঘিব চালাচ্ছিলেন বলে পুলিশ অফিসারদের সন্দেহ।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel