নোবেল জয় করে ভারতে আসার ঠিক আগেই তাঁকে কটাক্ষ করে বসলেন বিজেপি মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। আজ শেষ রাতে দিল্লিতে আসছেন অভিজিৎবাবু। আর এ দিনই পুণেতে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম আস্থাভাজন, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়কে অভিনন্দন। কিন্তু ওঁর ভাবনা পুরোটাই বাম ঘেঁষা। উনি ‘ন্যায়’ প্রকল্পেরও অনেক গুণগান গেয়েছেন। ভারতের জনতা তাঁর ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছে।’’ 

পীযূষের বক্তব্য, ‘‘আমাদের গর্ব, এক জন ভারতীয় নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে হবে, এমন তো নয়। বিশেষ করে জনতা তাঁর ভাবনাকে খারিজ করার পর আমাদেরও তা স্বীকার করার দরকার নেই।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে অভিজিৎবাবু কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের খসড়া তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। নোবেল ঘোষণার দিনে তা উল্লেখও করেন রাহুল। সে দিন নোবেল ঘোষণার চার ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিনন্দন জানালেও বিজেপি সাংসদ অনন্ত হেগড়ে অভিজিৎবাবুর সমালোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা আজ তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন।

কংগ্রেসের আনন্দ শর্মার প্রতিক্রিয়া, ‘‘পীযূষ গয়ালের বোধবুদ্ধির উপরেও প্রতিক্রিয়া দিতে হবে?’’ তবে পীযূষ ‘ন্যায়’ প্রকল্পের প্রসঙ্গ তোলায় আজ হরিয়ানায় এক সভায় রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গরিবের পকেটে অর্থ দিতেই হবে। মোদীর অর্থনীতির বোধই নেই। তিনি লোকসভায় একশো দিনের কাজকে অর্থহীন বলেছিলেন। ২০১৪ সালেই আমেরিকা থেকে দু’-তিন জন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এসে বলেছিলেন, ২০০৪-১৪ পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ ও কৃষি ঋণ মকুবেই অর্থনীতি এগিয়েছে। ভোটে জিতলে ‘ন্যায়’ প্রকল্প হত। বেকারি মিটত।’’

সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘পীযূষ কী জানেন, কী জানেন না, সেটিই জানা নেই। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর জানা উচিত, অর্থনীতি এখন বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে।’’ তবে অভিজিৎ কি বাম-ঘেঁষা? ‘ন্যায়’ নিয়ে বামেদের কী মত? সিপিএমের মতে, নোবেলজয়ীর সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে। ‘ন্যায়’ প্রকল্পে টাকা কোথা থেকে আসবে, কার উপর কর চাপবে, সে সবও দেখার বিষয়। অথচ প্রকৃত বিতর্কে যোগ না দিয়ে শুধু নজর ঘোরানোর জন্য ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা এই প্রাপ্তিকে ছোট করে দেখাতে চান, তাঁদের সম্পর্কে কী বলব?’’

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: