ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ তথা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডে গ্রাহকদের তথ্য হাতানোর অভিযোগ। এ বার মার্ক জ়াকারবার্গের ওই সংস্থাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে প্রচার চালিয়ে যাওয়া বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট আজ বন্ধ করে দিল। তাদের অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট গুলি থেকে দেদার ট্রাম্প-পন্থী প্রচার চলছিল ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপেও। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ ইমপিচমেন্টের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো ট্রাম্পের পক্ষে একটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হোয়াইট হাউস অবশ্য এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এ দিন ফেসবুকের সাইবার সিকিয়োরিটি বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইসার অভিযোগ, অনেকগুলি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট একটি চক্র তৈরি করে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার চালাচ্ছিল। বিদেশি রাষ্ট্রশক্তি এবং সরকারকে জড়িয়েও চলছিল উদ্দেশ্যমূলক প্রচার। বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল অন্যদের। একটি অনলাইনে গ্লেইসারের পোস্ট, ‘‘এ সবের পিছনে থাকা ব্যক্তিরা ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছিল। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

ফেসবুক দেখেছে, মার্কিন সংস্থা ইপোক মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে এই রকম একটি প্রচারচক্র সক্রিয় ছিল। এই সংবাদমাধ্যমটি আবার বিতর্কিত ধর্মীয় সংগঠন ফালুন গংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বিএল নামে একটি আউটলেটের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সংস্থাটির। গ্লেইসার বলেন, ‘‘এই বিএল নেটওয়ার্ক বারবার আমাদের বহু নীতি লঙ্ঘন করেছে।  সেই কারণে ফেসবুক বিএল-কে নিষিদ্ধ করেছে।’’ এই সব কারণে ভিয়েতনাম এবং আমেরিকা থেকে পরিচালিত ৬১০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ৮৯টি ফেসবুক পেজ, ১৫৬টি গ্রুপ এবং ৭২টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। গ্লেইসার জানিয়েছেন, এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট ভাঙাতে মার্কিন রাজনীতির নানাবিধ খবর, মিম ইত্যাদি ছড়ানো হচ্ছিল। প্রেসিডেন্টের পালে হাওয়া দিতে ইমপিচমেন্ট নিয়েও পাল্টা ডেমোক্র্যাট-বিরোধী প্রচার চলছিল। ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির কিছু পোস্টে পারিবারিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কট্টর অবস্থানও নজরে এসেছে ফেসবুকের।

 

 

Find out more: