সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল ৫৭ বছরের এক প্রৌঢ়ের। রাজ্যে এটিই প্রথম মৃত্যু। দমদমের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বিদেশযাত্রার কোনও রেকর্ড নেই। গত ১৬ মার্চ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার টিমের তত্ত্বাবধানে এক্সট্রাকর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশনে (একমো) রাখা হয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যেই সোমবার তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ দিন দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০ মার্চ তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়। তার পরদিন রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস রয়েছে। সেই থেকে সম্পূর্ণ আলাদা আইসোলেশন বেডে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা ছিল সেখানে। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো গেল না। তাঁর মৃত্যুর পর কী করণীয়, তা জানতে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত ওই ব্যক্তির বিদেশযাত্রার কোনও রেকর্ড না থাকলেও, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে বিলাসপুর গিয়েছিলেন তিনি। ২ মার্চ পুণে-হাওড়া আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতা ফেরেন। মহারাষ্ট্রের পুণেতেই যেহেতু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই রেলপথেও ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিয়েবাড়িতেও কয়েক’শ মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রেনে চেপে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel