জবাবি ভাষণে এদিন প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেসের উপর তীব্র আক্রমণে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে রসিকতা আর কটাক্ষের মিশেলে বিঁধলেন রাহুল গান্ধীকে। ভাষণে এদিন নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় সরকারের সাহসী সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছিলেন। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ, রামমন্দির বিতর্কের সমাধানের কথা তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁর সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও। আগের আমলের তুলনাও করছিলেন। এর পরই তিনি নিশানা করেন রাহুল গাঁধীকে। তাঁর নাম না করেই বলেন, ‘‘আমি গত কাল কংগ্রেসের এক নেতার ইশতাহারের কথা শুনছিলাম। তিনি বলেছেন ছ’মাসের মধ্যেই মোদীকে ডান্ডা মারা হবে। এই কাজটা সত্যি কঠিন।’’ এরপরই মোদীর সংযোজন, ‘‘ডান্ডা মারার কাজটা কঠিন বলেই ছ’মাস সময় লাগবে। তা ভাল। কিন্তু আমিও মনে করেছি এই ছ’মাসে সূর্য নমস্কারের সংখ্যা আরও বাড়াব।’’ এর পর রসিকতার মেজাজটা ধরে রেখেই আবেগতাড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত ২০ বছর ধরে গালিগালাজ শুনে নিজেকে গালি প্রুফ তৈরি করেছি। আর এই ছ’মাসে এমন সূর্য নমস্কার করব যে নিজের পিঠ ডান্ডা-প্রুফ করে নেব।’’ আরও খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যে আমাকে ডান্ডা মারার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। আমিও এই ছ’মাস ব্যায়াম করার জন্য সময় পাব।’’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝেই তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলতে যান রাহুল গাঁধী। ফের সরস ভঙ্গিতে মোদী বলেন, ‘‘আমি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে বলছি। কিন্তু কারেন্ট পৌঁছতে এত দেরি লাগল।’’ এর পর কিছুক্ষণ থেমে রাহুলকে শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘কিছু টিউবলাইট আছে যার জ্বলতে এতটাই সময় লাগে।’’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel