মঙ্গলবার ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আবার ডাকা হয়েছে। ১৩ জুন তার প্রথম হাজিরার পর থেকে ইডির সঙ্গে চারটি বৈঠকে প্রায় ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকেও ২৩ জুন এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। সোমবার তাকে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোভিড-সম্পর্কিত জটিলতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি অভিযোগে, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং তহবিলের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেন।

অভিযোগ, রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর মালিকানাধীন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থা ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ, এবং নবজীবন, এই তিনটি সংবাদপত্র ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডে’র কাছ থেকে অধিগ্রহণ করে। রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী একাই ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা (Motilal Bhora)। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ছিল, ওই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। ঘুরপথে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের’ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের ফার্স্ট ফ্যামিলি পরিচালিত ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’। সেই মামলাতেই রাহুলকে জেরা করছে ইডি।

প্রসঙ্গত, আজই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তবে থাকতে হবে বিশ্রামে। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: