শনিবার হলদিয়ার সভায় বিচার ব্যবস্থার একাংশকে অভিষেকের আক্রমণ ইস্যুতে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল ধনকড়। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রবিবার ১৫ দিনের দার্জিলিং সফরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, ‘‘প্রকাশ্য জনসভা থেকে এক জন সাংসদ এক জন বিচারপতিকে আক্রমণ করেছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যে বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। সাংসদের এ হেন মন্তব্য নিন্দনীয়। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’ এখানেই থামেননি ধনখড়। তাঁর দাবি, ‘‘সাংসদ হিসেবে নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন উনি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় একটি জনসভা থেকে বেশ কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচার-ব্যবস্থায় এক জন দু’জন এমন আছেন, যাঁরা যোগসাজশে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন! ভাবতে পারেন! আপনি অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দিতে পারেন। কিন্তু মামলায় স্থগিতাদেশ দিতে পারেন না।’’

রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বিলেন, জগদীপ ধনখড় অনেক আগেই রাজ্যপাল পদের সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছেন। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তিনি বিজেপির দালালি করে যাচ্ছেন, বিজেপির এজেন্সি নিয়েছেন। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাই বলে থাকুন, তিনি বিচার ব্যবস্থার উপরে পূর্ণ আস্থা রাখেন। বহু বিচারপতির মুখ থেকে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে আত্মসমালোচনা শোনা গিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোনও সাংসদ যদি কোনও মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তাঁর কিন্তু আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপরে সম্মান রেখে তিনি কোনও ব্যতিক্রমী মন্তব্য করেছেন। তানিয়ে রাজ্যপাল মন্তব্য করে রাজ্যপাল সীমা লঙ্ঘন করেছেন। ওঁর ক্ষমতা থাকলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির পতাকা কাঁধে নিয়ে রাজনীতি করুন।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: