সিরিজ জেতার পর চতুর্থ ম্যাচ দাঁড়িয়েছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তাই এই ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং মহম্মদ শামিকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিবর্ত হিসাবে দলে এসেছিলেন সঞ্জু স্যামসন এবং নভদীপ সাইনি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও টাই হয়। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর সেই সুপার ওভারেও রাহুল আর বিরাটের ব্যাট থেকে ম্যাজিক্যাল ইনিংস। জিতল টিম ইন্ডিয়া। সিরিজে ৪-০ তে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। বাকি আর একটি ম্যাচ। জিতলেই হোয়াইট ওয়াশ। সেই লক্ষ্যেই শেষ ম্যাচে নামতে চলেছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। 

 

এদিন টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। রাহুল নিজের ছন্দে ব্যাট করলেও পার্টনারশিপ গড়তে ব্যার্থ হয় সঞ্জু স্যামসন। মাত্র ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। বিরাট কোহলিও এদিন মাত্র ১১ রান করে আউট হন। রাহুল নিজের ছন্দে ব্যাট করলেও অর্ধ শতরান পূরণ করতে পারেননি। তবে ইনিংস গড়ার কাজ করেছেন। কিন্তু মিডিল অর্ডার ব্যর্থ হলেও মণীশ পাণ্ডে প্রশংসনীয় ইনিং খেলেছেন। পূর্ণ করেছেন অর্ধশতরান। টেলেন্ডারদের সাপোর্ট মেলাও সম্মানীয় রান স্কোর বোর্ডে ওঠে ভারতের। ১৬৫ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডও ১৬৫ রানে ইনিংস শেষ করে। শেষ দুই ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১১ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল সাত রান। ২০তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে লোপ্পা ক্যাচ তুলে ফিরলেন রস টেলর (১৮ বলে ২৪)। পাঁচে বলে চাই সাত রান। ড্যারিল মিচেল মারলেন চার। চার বলে চাই তিন রান। লোকেশ রাহুলের থ্রোয়ে রান আউট হলেন সেইফার্ট (৩৯ বলে ৫৭)। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছয়। তিন বলে চাই তিন। দুই বলে চাই দুই। এ বার তুলে মেরে আউট ড্যারিল মিচেল (তিন বলে ৪)। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে মিচেল স্যান্টনার। ফের সুপার ওভার হবে নাকি? উত্তেজনায় কাঁপছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন কুগেলেইজিন। ফলে, দুই দলেরই রান হল সমান-সমান। শার্দুলের ওভারে পড়ল চার উইকেট। ভারতের (১৬৫-৮) সঙ্গে একই বিন্দুতে থামল নিউজিল্যান্ড (১৬৫-৭)। ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। হ্যামিল্টনের মত ওয়েলিংটনেও সুপার ওভারে বল করতে এসেছিলেন জশপ্রীত বুমরা। তাঁর প্রথম তিন বলে পড়েছিল দুই ক্যাচ। টিম সেইফার্টের প্রথম ক্যাচ ফসকালেন শ্রেয়াস আইয়ার। দ্বিতীয় ক্যাচ ফেলেছিলেন লোকেশ রাহুল। চতুর্থ বলে সেইফার্টের ক্যাচ ধরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এর মধ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারিতে বল পাঠিয়েছিলেন যথাক্রমে সেইফার্ট ও কলিন মুনরো। শেষ বলে এক রান হয়েছিল।নিউজিল্য়ান্ড তুলেছিল ১৩ রান। ভারতের দরকার ছিল ১৪ রান।

 

টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে এসেছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহালি। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে সুপার ওভারে বল করতে এসেছিলেন টিম সাউদি। ঠিক হ্যামিল্টনের মতোই। প্রথম বলেই ছয় মেরেছিলেন রাহুল। পরের বলে মারলেন চার। দুই বলে এসেছিল ১০। চার বলে দরকার ছিল চার রানের। কিন্তু তৃতীয় বলেই আউট রাহুল। তিন বলে চাই চার রান, ক্রিজে কোহালি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অনে ঠেলে দুই রান নিলেন তিনি। দুই বলে চাই দুই। মিড উইকেটে চার মেরে জেতালেন কোহালি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: