প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিনটি বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিন বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হয় নানান জনকল্যান মূলক কর্মসূচী। মশাবাহিত এই রোগের শিকার হয়েছেন বহু লোক। বাংলা তথা ভারতের বহু সাহিত্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের বহু ঘটনার কথা উঠে এসেছে। মারণ হলেও এই সংক্রমণ ঠেকানো যায়, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে সুস্থও করে তোলা যায়।
ম্যালেরিয়া আসলে এক ধরনের পরজীবী প্লাজমোডিয়াম দ্বারা ছড়ানো একটি রোগ। এটি শরীরে প্রবেশ করে লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে দেয়। এর থেকে হতে পারে মৃত্যু। রোগ থেকে বাঁচতে চারিদিক পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে ম্যালেরিয়ার মশা জন্মাতে পারবে না।

কী কী উপসর্গ দেখা যায়?

ম্যালেরিয়া হলে রোগীর শীত করে, আবারা ঘামও হয়। প্রচন্ড জ্বরও ওঠে। এছাড়া মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্তাল্পতা এবং পেশিতে ব্যথাও অনুহয়। পাশাপাশি খিঁচুনি, কোমা বা মলের সঙ্গে রক্ত পড়ার সমস্যাও ম্যালেরিয়ার কিছু কিছু রোগীর মধ্যে দেখা যায়। শরীরে এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।  

তবে সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। কীভাবে সচেতন হবেন জেনে নিন -

* নোংরা জলে ও আর্দ্র পরিবেশে জন্মায় ম্যালেরিয়ার মশা। তাই বাড়ি আশে পাশে নোংরা জল জমতে দেবেন না।

* নিকাষি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে।

* কোথাও আর্দ্র পরিবেশ বা স্যানসেঁতে জায়গা থাকলে সেখানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দিন। এতে মশা জন্মাতে পারবে না।

* বাড়ির প্রতিটি কোণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কীটনাশক স্প্রে করুন।

* ঘরের আশেপাশে কুলার, এসি, পাত্র ও টায়ার ইত্যাদিতে জল জমতে দেবেন না।

* জলের ট্যাঙ্কগুলোও ভাল ভাবে ঢেকে রাখুন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: