২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণ আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন দীপেন্দু। কিন্তু দল এ বার আর তাকে প্রার্থী করেনি। আর তার ক্ষোভ তৃণমূলের তালিকা ঘোষণা দিন থেকেই প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি। জল্পনা তৈরি হয়েছিল দলবদল নিয়ে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন সেটাও প্রকাশ্যে এসে যায়। এ বার সব জল্পনা সত্যি হল। প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান তিন প্রধানের জার্সিই তাঁর গায়ে উঠেছে। ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিও পরেছেন। এ বার পরলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জার্সি। এখন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর দীপেন্দুর রাজনীতিতে য‌োগ ২০১৪ সালে। বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্যের কাছে হেরে গলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শমীককেই বড় ব্যবধানে হারান। এ বার নীলবাড়ির লড়াইতে তিনি পদ্মের প্রার্থী হবেন কিনা সেটা অবশ্য এখনই বলা যাবে না। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, তেমনটাই চান দীপেন্দু।

অন্যদিকে, সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ-সহ মোট ৪ জন তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি। সেই সঙ্গে সোমবার বিজেপি-তে যোগ দেন মালদহের সরলা মুর্মু। প্রসঙ্গত তৃণমূল সরলাকে মালদহের হবিবপুরে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তারপরেই আসন পছন্দ না হওয়ায় তিনি বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সেটা জেনেই সোমবার তাঁকে সরিয়ে হবিবপুরে প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সরলাকে সরানোর কারণ হিসাবে তাঁর ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কারণ দেখানো হয়েছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: